মানবাধিকার সুরক্ষিত রাখতে কমিশনকে শক্তিশালী করার এখনই উপযুক্ত সময় বলে দাবি করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, দেশে মানবাধিকার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় এবং মানবাধিকার সুরক্ষিত রাখতে সবাইকে আন্তরিক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রয়োজনীয় পর্যবেক্ষণ, গবেষণা এবং সুপারিশ প্রদান করে। পাশাপাশি জনগণের মানবাধিকার সংরক্ষণ ও মর্যাদা নিশ্চিতের চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) ড্যানিশ ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান রাইটসের দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কমিশনে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে যে কোনো বয়সের ব্যক্তি অভিযোগ করতে পারেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি নিজে অথবা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানও অভিযোগ করতে পারেন। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কমিশন নিয়মিত স্বপ্রণোদিত অভিযোগও গ্রহণ করে।
ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এ সময় দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আলোচনাকালে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও সামর্থ্য বিনিময়ের মাধ্যমে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারে একমত পোষণ করা হয়। ড্যানিশ ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান রাইটসের পক্ষ থেকে কমিশনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করা হয়।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ প্রতিনিধিদলকে কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। এ সময় কমিশনের বিভিন্ন থিমেটিক কমিটির কার্যক্রম, কমিশনের প্রতিবন্ধকতা ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। মানবাধিকার কমিশনের সক্ষমতা ও আইনি কাঠামো বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি।
সারাদেশের সব বিভাগে কমিশনের কার্যালয় স্থাপন, কমিশনকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো অভিযোগ থাকলে সে বিষয়ে তদন্ত করার এখতিয়ার দিয়ে কমিশনের আইন সংশোধন, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগসুবিধা বৃদ্ধি করা আবশ্যক বলে মত প্রকাশ করেন ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
কমিশন বিশ্বাস করে, এই বৈঠক ইতিবাচক ফলাফল নিয়ে আসবে এবং পারস্পরিক সহযোগিতা ও বিনিময়ের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে। বৈঠকে ড্যানিশ ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান রাইটসের প্রতিনিধিদল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
এফএইচ/ইএ/জেআইএম