নারী প্রেসিডেন্ট পেতে অপেক্ষা বাড়লো মার্কিনিদের

0
3


আট বছরে দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে মনোনয়ন পান একজন নারী। নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে জেন্ডার ছিল কেন্দ্রীয় ইস্যু।

২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনের মতো কমলা হ্যারিসও ওভাল অফিস দখলের লড়াইয়ে ছিলেন। কিন্ত চূড়ান্ত ফলাফলে হোঁচট খেলেন।

মজার ব্যাপার হলো হিলারি ক্লিনটন ও কমলার ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাদের দুইজনের পরাজয়ের ক্ষেত্রেই ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন ট্রম্প। তবে অনেক বিশ্লেষকরাই বলছেন, নারী বিদ্বেষও পরাজয়ে ভূমিকা রেখেছে।

ক্যাম্পেইনগুলোতে হ্যারিস ও ট্রাম্প স্পষ্টভাবেই নারীদের অধিকার ও মর্যাদার বিষয়ে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন।

যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত ট্রাম্প ও তার ক্যাম্পেইন নারীদের অপমান করে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন।

ট্রাম্প কমলা হ্যারিসকে ক্রেজি ও মানসিকভাবে অক্ষম বলে দাবি করেছেন। তাছাড়া হ্যারিস যদি নির্বাচিত হন তাহলে বিশ্ব নেতাদের খেলার পুতল হবেন বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প।

হ্যারিস বেয়ন্স, জেনিফার লোপেজ, লেডি গাগা ও অপরাহ উইনফ্রে-এর মতো ও
নারী সেলিব্রিটিদের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করেছিলেন। মনে করা হয়েছিল তারা তাকে এমনকি রক্ষণশীল নারী ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে সহায়তা করবে।

হ্যারিস প্রকাশ্যে প্রচার করেননি যে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হবেন।

কিন্তু তিনি নারীর অধিকার রক্ষা ও বিশেষ করে গর্ভপাতকে তার প্রচারণার অন্যতম ভিত্তি করে তোলেন। তবে এর প্রভাব খুব একটা পড়েনি রক্ষণশীলদের মধ্যে।

সূত্র: এএফপি

এমএসএম

 

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।