মাঠে নামার আগেই নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ৬ পয়েন্ট এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা। এরপর কাতালান ডার্বিতে (নগর প্রতিদ্বন্দ্বী) এস্পানিওলের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানের জয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করে নিলো বার্সা।
১২ ম্যাচে বার্সার পয়েন্ট এখন ৩৩। এক ম্যাচ কম খেলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়ালের পয়েন্ট ২৪।
রোববার রাতে ঘরের মাঠে বার্সার হয়ে জোড়া গোল করেন দানি ওলমো। বার্সার জার্সিতে এবারই প্রথম একাধিক গোল করলেন স্প্যানিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। বার্সার ৫ ম্যাচে এ নিয়ে ৫ গোল করলেন তিনি। বাকি এক গোল করেন রাফিনহা।
ম্যাচের প্রথমার্ধেই গোলটি করে বার্সা। ১২ মিনিটে ওলমোর গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় হানসি ফ্লিকের শিষ্যরা।
২৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রাফিনহা। চলতি মৌসুমে ব্রাজিলিয়ান তারকার এটি ১১তম গোল। অথচ গত মৌসুমে ৩৭ ম্যাচ খেলে মাত্র ১০ গোল করতে পেরেছিলেন এই ফরোয়ার্ড। বোঝাই যাচ্ছে, চলতি মৌসুমে কতটা দুর্দান্ত ব্রাজিলিয়ান এই তারকা।
৩১ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ওলমো। এতে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বার্সা। এই রাতে অবশ্য হ্যাটট্রিকের সুযোগ পাননি ওলমো। কারণ, দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিট পরই তাকে তুলে নেন ফ্লিক।
দ্বিতীয়ার্ধে বেশি আক্রমণে যায়নি বার্সা। রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলছিল স্বাগতিকরা। তবুও ৬৩ মিনিটে এক গোল শোধ করে
দেয় এস্পানিওল। সফরকারীরা অবশ্য আরেকবার বলে জালে জড়িয়েছিল। তবে ফ্লিকের অবসাইডের ফাঁদে পড়ে ওই গোল বাতিল হয়ে যায়।
এর আগে গত সপ্তাহে একই কৌশলে রিয়ালকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল বার্সা। রিয়াল ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপের করা গোল বারবারই বাতিল হয়েছে অবসাইডের কারণে।
এস্পানিওলের বিপক্ষে শেষ বাঁশির আগে ব্যবধান থাকে ৩-১ ই। মানে পুর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সা।
এমএইচ/জেআইএম