যুব জলবায়ু গবেষকদের জন্য প্রণোদনা তহবিল গঠনের ঘোষণা

0
1


 

দক্ষিণ এশিয়ার যুব জলবায়ু গবেষকদের গবেষণার জন্য অর্থায়নের জন্য বিনিয়োগ খুবই সীমিত। যে কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো সবচেয়ে বেশী জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকলেও গবেষণা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন নেই বললেই চলে। গবেষণায় ইচ্ছুকদের সাহায্য করতে ‘সাউথ এশিয়ান রিসার্চ হাব স্মল গ্রান্ট’ নামে গবেষণা প্রণোদনা তহবিল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে সেন্টার ফর পিপল অ্যান্ড এনভায়রন (সিপিই)।

রোববার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটতে (পিআইবি) সিপিই আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তন-বিষয়ক দ্বিতীয় সাউথ এশিয়ান সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সাউথ এশিয়ান রিসার্চ হাব স্মল গ্রান্ট ও ঢাকা ডিক্লারেশন ঘোষণা করেন সিপিই’র পরিচালক মুহম্মদ আব্দুর রহমান। দুদিনব্যাপী এ সম্মেলনের শেষদিনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর পরিবেশ এবং জলবায়ু নিয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।

এ তহবিলের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের শিক্ষার্থী ও যুব গবেষকদের প্রতিবছর ছোট ছোট ফান্ড দেওয়া দেবে সিপিই।

সম্মেলনে সিপিই’র বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ও কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মনিরুল কাদের মির্জা বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার শিক্ষার্থী ও যুব গবেষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও গবেষণা ফলাফলকে বিশ্বমানের করে তুলতে সাউথ এশিয়ান রিসার্চ হাবের মত উদ্যোগ খুবই যুগোপযোগী। দেশে এবং বিদেশি যেসব ফান্ডিং মেকানিজম আছে তাদের উচিত এ হাবকে সহযোগিতা করা।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ, সভাপতি, অধ্যাপক ড. ম. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন পিআইবির মহাপরিচালক (ডিজি) ফারুক ওয়াসিফ, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. স্বপ্তর্ষী মিত্র, রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ভুটানের অধ্যাপক ড. ওম কাটেল, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রোগ্রামের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার তাপস রঞ্জন চক্রবর্তী, লিডারসের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম।

সভাপতির বক্তব্যে ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে মানুষ অনেক তবে গবেষক কম। তার ওপরে গবেষণার জন্য অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও কম। সেক্ষেত্রে সাউথ এশিয়ান রিসার্চ হাব স্মল গ্রান্ট খানিকটা হলেও ভূমিকা রাখবে।’

সম্মেলনের একটি সেশনে সিপিই’র পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রহমান রানা বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ান জলবায়ু সম্মেলনের উদ্দেশ্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর যুবদের জলবায়ু গবেষণায় দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে এখানকার জলবায়ু-সহিষ্ণুতা অর্জনে ভূমিকা রাখা। তারই ধারাবাহিতায় আমরা এ বছর আন্তর্জাতিক মানের ক্লাইমেট সায়েন্স ও পলিসি নামে একটি জার্নাল প্রকাশ করেছি যেখানে স্থান পেয়েছে প্রথম সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের গবেষণা।’

আরএএস/এমএএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।