চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আসমা আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চির্কা গ্রামের রাঢ়ি বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আসমা আক্তার ওই বাড়ির মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. মাসুমের স্ত্রী এবং একই উপজেলার চরমথুরা গ্রামের খান বাড়ির মৃত হাফেজ খানের মেয়ে।
পরিবারের লোকজন জানান, দুই বছর আগে মাসুমের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় আসমার। বিয়ের পরপরই মাসুম প্রবাসে পাড়ি জমান। তাদের এক বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। আসমা তার শ্বশুর-শাশুড়ি ও দুই দেবরের সঙ্গে থাকতেন।
আসমার শাশুড়ি মাসুমা বেগম বলেন, ‘পরিবারের সবাই শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। তবে মোবাইলে টিকটক চালানোর কারণে আসমার ঘুমানোর কোনো নির্দিষ্ট সময় ছিল না। ভোরে আমার স্বামী বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হলে পাশের আমগাছের সঙ্গে আসমাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে সেখান থেকে নামিয়ে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
আসমার দেবর সাইমুন বলেন, ‘টিকটকে আসক্ত ভাবি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছে বলে সন্দেহে পরিবারে অশান্তি দেখা দেয়। তাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টার অংশ হিসেবে মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলা হয়। কিন্তু এ নিয়ে কোনো ঝগড়া হয়নি। কেন এ ঘটনা ঘটলো বুঝতে পারছি না।’
ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফ সরকার বলেন, আসমার বড় ভাই থানায় অপমৃত্যু মামলা করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
শরীফুল ইসলাম/এসআর/জিকেএস