নওগাঁয় পূর্ব শত্রুতার জেরে তিন ভাইসহ বিএনপির চার নেতাকর্মী সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। এতে আব্দুল মজিদ (৫০) নামে যুবদলের এক নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একই সময়ে বিএনপির আরও তিন নেতাকর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা।
শনিবার (০২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের ইয়াদ আলীর মোড় এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে আশঙ্কাজনক অবস্থ্যায় আব্দুল মজিদসহ তার দুই ভাই কাবিল হোসেন (৩০) ও শফিকুল ইসলামকে (৪৮) বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরেকজন সুবীদ আলী (৪০) নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সাহাপুর এলাকায় মোহাম্মদ আলী নামে আওয়ামী লীগের এক ক্যাডারের অবৈধ দখলে থাকা জমি উদ্ধার করে প্রকৃত মালিককে বুঝিয়ে দেন জেলা যুবদলের সাবেক সদস্য আব্দুল মজিদ। এ ঘটনার জেরে শনিবার রাতে বোয়ালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে মোটরসাইকেলযোগে ৩ জনকে সঙ্গে নিয়ে আব্দুল মজিদের উপর হামলা করেন মোহাম্মদ আলী। আব্দুল মজিদকে দেখা মাত্রই আকস্মিক তার বাম কাঁধে গুলি করেন মোহাম্মদ আলী। তাৎক্ষণিক আব্দুল মজিদের দুই ভাই বোয়ালিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য কাবিল ও স্থানীয় শ্রমিক দল নেতা শফিকুল এগিয়ে এলে তিন ভাইকেই রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ী কুপিয়ে পালানোর চেষ্টা করে হামলাকারীরা।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হামলার শিকার স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সুবিদ আলী বলেন, মজিদ ও তার ভাইদের ওপর হামলার পর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে মোহাম্মদ আলীর পথরোধ করে দাঁড়িয়েছিলাম। ওই মুহূর্তে আমাকেও কুপিয়ে মোটরসাইকেল এবং শটগান ফেলে পালিয়ে গেছে ওরা। এরা এলাকার চিহ্নিত আওয়ামী সন্ত্রাসী।
নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু বলেন, শান্তির শহর নওগাঁকে অশান্ত করতে রাজনৈতিক কারণে এ হামলা চালিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। হামলায় জড়িতদের অতি দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ।
নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া ১টি শটগান ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। হামলাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আরমান হোসেন রুমন/এফএ/এমএস