গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও চুরির ঘটনায় সাবেক এমপিসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ মামলায় অজ্ঞাত আরও ১৫০-১৬০ জনকে আসামি করা হয়।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মো. নুরুন্নবী গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন।
উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- গোবিন্দগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ (৬০), সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুল (৪৫), সাবেক মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি (৫৫), কামারদহ ইউপি চেয়ারম্যান মো. তৌকির হাসান রচি (৩৮), সাবেক কাউন্সিলর শাহিন আকন্দ (৫২), কাইয়ুম মিয়া (৫০), এ.টি.এম. জয়নাল আবেদীন (৫০), মো. রাজু মিয়া (৪৫), উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মুক্তার হোসেন সাদ্দাম (৩৪), শ্রী গোবিন্দ কুমার রাজভর (৬০), উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. বাবুল ইসলাম (২৮), জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুল হান্নান আজাদ (৫৫), সাবেক সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী মো. আতিকুর রহমান আতিক (৪২), সোহরাব (৫০), উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তাহিদুল ইসলাম রকেট (৫৭), নবাব প্রধান (৩৮), মো. মামুন সরকার (৩৩), উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মিয়া আসাদুজ্জামান হিরু (৫০), সাবেক কাউন্সিলর মাজেদুল ইসলাম (৪৫), শহিদুল ইসলাম কমেট (৫৫), মো. নান্নু মিয়া (৪৫), মো. আব্দুস সবুর (৩৮), মো. শাহিন (৪০), আল আমিন (২৮), মাজেদুল ইসলাম মাহিন (২৫), রাফসান জানি স্বর্নাফ (৩৬), জাহিদ (৩৫), এনামুল হক (৩৫), সুইট রানা (৩৫), মো. মোস্তাফিজুর রহমান (৩৬), হাজী মাহাতাফ (৫৫), পায়েল (২৮), আব্দুল মমিন (৩৫), আরিফুল ইসলাম (৩০), সাবেক কাউন্সিলর ফারুক কবির (৪৮), কামারদহ ইউপি সদস্য মিন্টু শেখ (৫০), সাজু মিয়া ওরফে কানা সাজু (৪১), মো. সবুজ (৩৩), মো. জহুরুল ইসলাম (৩২), মো. খাইরুল ইসলাম মুক্তার (৫০), মো. ওয়ারেজ সরকার (৩০), অলিউর রহমান অলি (৩৫), মো. রাগেবুল ইসলাম (২৭), হোসাইন আহম্মেদ (৬০), মো. শিহাব সরকার রঞ্জন (২৭), মো. আব্দুল হাই তালুকদার (৬৫), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. নজরুল ইসলাম (৪৫), মো. বিপু সরকার (৩৮), আব্দুর রাজ্জাক (২৭), মো. আইয়ুব আলী (৫৫), মো. রেজাউল করিম (৩৫), মো. মিঠু শেখ (৪০), মো. মামুন তালুকদার (৩২), মো. মিঠুন তালুকদারসহ (২৮) আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের ৫৬ নেতাকর্মী।
মামলার বাদী মো. নুরুন্নবী বলেন, ১০ বছর আগে তৎকালীন গোবিন্দগঞ্জ থানার দায়িত্বে থাকা ওসি মামলা নেননি। বিষয়টি সাংগঠনিক হওয়ায় ঊর্ধ্বতন নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে মামলা করতে দেরি হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সালে জামায়াতে ইসলামীর অফিসে অগ্নিসংযোগ ও চুরির অভিযোগে মামলা হয়েছে। আসামিরা আত্মগোপনে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এ এইচ শামীম/জেডএইচ/এএসএম