ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) গভীর রাত থেকেই পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলীয় অঞ্চল পূর্ব মেদিনীপুরে। তবে এতে তেমন বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তাছাড়া এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির কথাও শোনা যায়নি।
তবে ‘দানা’র শেষ অংশের কিছুটা প্রভাব পড়েছে কলকাতাসহ উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া, ঝাগ্ৰাম, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ ও বাঁকুড়ায়। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ভোর থেকেই এসব অঞ্চলে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এদিন সকাল থেকেই দীঘায় সমুদ্রের রুদ্র রুপ দেখা যায়। এখনো উত্তাল রয়েছে সাগর।
কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, কলকাতাসহ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পূর্ব মেদিনীপুরে ‘দানা’র প্রভাবে ভারী থেকে অতী ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের অনেক জেলাতেই। শনিবার (২৬ অক্টোবর) এমন পরিস্থিতি বজায় থাকবে।
ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি নজরে রাখতে বৃহস্পতিবার সারারাত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সচিবালয় ‘নবান্ন’-র কন্ট্রোল রুম বসে বড় পর্দায় নজর রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া এখনো শেষ না হলেও সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে রাজ্য প্রশাসন।
ডিডি/এসএএইচ