রিকশাওয়ালাকে ডেকে সংবাদমাধ্যম গালি শিখিয়ে দেয়; নিজের সমালোচনার জবাবে এমন মন্তব্য করেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। এছাড়াও নিজের খারাপ লাগা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে না থাকা ও ব্যারিস্টার সুমনকে নিয়ে যমুনা টেলিভিশনের সাথে খোলামেলা কথা বলেছেন কাজী সালাউদ্দিন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষ এখন অনেক বেশি সক্রিয়। তারা ফুটবল নিয়ে আবেগের অনেক বহিঃপ্রকাশও ঘটায় সেখানে। আর সবচেয়ে বেশি সমালোচনা শিকার হন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। দেশের ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ হিসেবেই যেন তাকে মনে করে অনেক মানুষ! এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাফুফে সভাপতি বলেন, এটা গণমাধ্যম তৈরি করেছে। যেমন ধরুন, এমন একজন মানুষ যিনি কখনো মাঠে যান না, খেলা দেখেন না; তাকে টকশোতে এনে আমাকে গালি দেয়া হয়। ব্যারিস্টার সুমন কখনো মাঠে যান না। কিন্তু উনি টেলিভিশনে বসে অকথ্য ভাষায় আমাকে গালি দিচ্ছে। এটা তো বিদেশের মানুষ দেখে। আর গণমাধ্যমও তার অভিজ্ঞতার কথা জানতে চায় না। তিনি যা বলেন, সেটাই সবাই মেনে নেয়।
সাধারণ মানুষের সমালোচনাকে কীভাবে নেন কাজী সালাউদ্দিন; এ প্রসঙ্গেও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি। তিনি বলেন, আপনারা একজন রিকশাওয়ালাকে ডেকে বলেন, ফুটবলের অবস্থা নিয়ে জিজ্ঞেস করবো। তুমি বলবে, সালাউদ্দিনকে সরিয়ে দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। এই ঘটনা আমি দেখেছি। প্রমাণও দিতে পারবো। আমি কিন্তু এসব নিয়ে কোনো কথা বলি না। যারা টকশোতে গিয়ে কথা বলে, তাদের কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড নেই। সাবেক কিছু খেলোয়াড় আছেন। তারা কোচিংয়ে নেই, খেলায় নেই, কোনোকিছুতে নেই। বাদাম খাচ্ছে আর এসব কথা বলছে। আমি হয়তো ভালো খেলোয়াড় ছিলাম। কিন্তু তাদের কেন জিজ্ঞেস করা হয় না যে, ফুটবলে তাদের অবদান কোথায়!
কাজী সালাউদ্দিন বলেন, আমি ফুটবলের কী করবো? আমি কি খেলি? এতজন খেলোয়াড়, কোচ থাকতে শুধু আমাকে গালি দেয়া হচ্ছে কেন? তবে আমার একটি সুবিধা আছে। আমি ফেসবুকে যাই না, টিভি দেখি না, কোনো মিডিয়াতেও যাই না। আমাকে কে কী বললো সেটা সম্পূর্ণই তাদের ব্যাপার। তবে এসব সমালোচনা দেখলে অবশ্যই খারাপ লাগে। তবে আমি আমার কাজ করে যাই।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করলেই জরিমানা দিচ্ছি: কাজী সালাউদ্দিন
/এম ই