নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে তরুণীকে গলা, হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যার ৪ দিন পর অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামি এ চাঞ্চল্যকর হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
রোববার (১৯ জুন) সকালে সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের পিতাম্বরপুর গ্রামের একটি সবজি ক্ষেত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চুরি, মোবাইল ও ওড়না উদ্ধার করে। এর আগে শনিবার বিকেলে উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পিতাম্বরপুর গ্রামের মিনহাজি বাড়ি থেকে পরকিয়া প্রেমিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত শাহাদাত হোসেন জীবন (২৪) উপজেলার পিতাম্বরপুর গ্রামের মিনহাজি বাড়ির নির্মাণ শ্রমিক শামছুল আলম দিলসাদের ছেলে। সে পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক।
রোববার দুপুর পৌনে ১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম।
এসপি বলেন, ভুক্তভোগী ফেরদাউস পাখির গত ২০০৮ সালে প্রথম বিয়ে হয়। সেখানে ৩ বছর সংসার করার পর স্বামীর সাথে তার তালাক হয়। প্রথম স্বামীর সংসারে তার একটি ৬ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে ভুক্তভোগীর পুনরায় অন্য ব্যক্তির সাথে ২য় বিয়ে হয়। ৬ মাস পর ২য় স্বামীর সাথে তালাক হয়। এরপর চলতি বছরে জীবনের সাথে ভুক্তভোগী ফেইসবুক মেসেঞ্জারে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী আসামিকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে আসামি তাকে সোনাইমুড়ীর পিতাম্বরপুর গ্রামের মিনহাজী বাড়ির সংলগ্ন সবজি ক্ষেতের দক্ষিণ পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে। সেখানে উভয়ের মধ্যে
কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আসামি তার কাছে থাকা ছোরা বের করে প্রথমে ভুক্তভোগীর গলায় পোঁচ দেয়। এছাড়া মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য সে ভুক্তভোগী গলায় উপর্যুপরি ধারালো ছোরা দিয়ে জবাই করে হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি এ চাঞ্চল্যকর হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
এটিএম/