বন্যায় তলিয়ে গেছে সিলেটের বেশিরভাগ এলাকা। প্রাণ বাঁচাতে অনেকে বাসাবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁয় নিয়েছেন। অনেকে আবার চলে গেছেন আত্মীয়ের বাড়িতে। এরই মধ্যে জেলার বেশ কয়েকটি উপশহরে ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ডাকাত ধরতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় নেমে সারারাত পাহারা দিয়েছেন এলাকাবাসী, জোরদার টহল ছিল পুলিশেরও। তবে পুলিশের বক্তব্য, ডাকাতের খবরটি গুজব।
শনিবার (১৯ জুন) দিনগত রাত ১টার পর থেকে ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে সিলেটের বিভিন্ন এলাকায়। এ সময় মসজিদের মাইক থেকে মাইকিং করে সকলকে সতর্ক করে দেয়া হয়। সেই সাথে পুলিশের একাধিক দলকে নগরে সাইরেন বাজিয়ে টহল দিতে দেখা গেছে। এলাকাবাসীও রাত জেগে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলাকা পাহারা দিয়েছে। এলাকায় অপরিচিত কাউকে দেখলেই চলেছে জিজ্ঞাসাবাদ।
বর্তমানে সিলেট নগরের প্রায় ৮০ ভাগ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কও বন্ধ, নেই ইন্টারনেট। মোমবাতি আর জ্বালানি তেলের সঙ্কটে অনেক বাসায় জ্বলেনি আলোও। এর মধ্যে টানা বৃষ্টি ও বজ্রপাত, চারদিক থেকে ঘিরে ধরছে পানি। নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাড়ি ছেড়েছেন অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে ডাকাতের হামলার খবর শুনে এলাকাবাসীর মাথায় যেনো বাজ ভেঙে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, ডাকাতের হামলা ও আটকের খবর ছড়িয়ে পড়েছে। তবে কোথায় হামলা করেছে বা কারা আটক করলো তার কিছুই জানা যায়নি। উল্টে এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়ে ডাকাতের খবর। অনেকে লিখছেন, তাদের বাড়িতে ডাকাত আসছে। আবার অনেকে লিখছেন, বন্যাকবলিত সিলেট ও সুনামগঞ্জে গণহারে ডাকাতি হচ্ছে। অনেকে আবার লিখেছেন, ডাকাতের এই আতঙ্কের মধ্যে ছিঁচকে চোর সুযোগ নিতেই পারে।
এ নিয়ে পুলিশের দাবি, বন্যার কারণে এমনিতেই আতঙ্কিত মানুষ। এর মধ্যে ডাকাতির গুজব ছড়ানো হয়েছে। তবুও সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে পুলিশ। কোথাও ডাকাতি বা এ ধরনের কোনো সঠিক খবর পাওয়া গেলে সিলেট মহানগর পুলিশের কন্ট্রোল রুমে (০১৩২০০৬৯৯৯৮) অথবা জাতীয় পরিসেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করার আহ্বান তাদের।
এসজেড/