শাড়ি-লুঙ্গি দিয়ে যাকাত আদায়ের প্রবণতা কমছে। ফলে বিকিকিনি কমেছে দোকানে। আগের মতো পসরা নিয়ে বসছেন না ব্যবসায়ীরা। জানালেন, মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন যাকাতের কাপড়ের পুরোনো ক্রেতারা। অনেকেই গরিবকে নগদ টাকা দিচ্ছেন। সে কথা স্বীকারও করছেন সাধারণ ক্রেতারা। তাদের মতে, অর্থনৈতিক বাস্তবতায় অনেকের যাকাত দেয়ার সক্ষমতাও কমেছে।
ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে প্রতি বছর দরিদ্রদের মাঝে পোশাক বিতরণের মাধ্যমে যাকাত আদায় করেন দেশের অনেক বিত্তবান। তাই ঈদের আগে শাড়ি, লুঙ্গি ও পাঞ্জাবির পসরা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটান ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবার ১০ রোজা পেরোলেও ক্রেতার দেখা নেই।
মিরপুরের নিউ সোসাইটি মার্কেটে ঈদের সাধারণ পোশাকের বেচাকেনা তলানীতে। তাই যাকাতের পোশাকে ফিরেও তাকাচ্ছে না কেউ। জানা গেলো, এসব কাপড়ের কোনো বিশেষ ধরন নেই। তবে সুতি শাড়ি এবং পাঁচ হাত বহরের লুঙ্গির চাহিদা বেশি। এসবের বড় চালান আসে নরসিংদীর বাবুরহাট থেকে। সাধারণ মানের শাড়ির দাম ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। মান আরেকটু ভালো হলেই দাম ছাড়াচ্ছে ৫০০ টাকার গন্ডি। সুখবর নেই লুঙ্গি ও পাঞ্জাবির দোকানেও। তুলনামূলক পাতলা, চিকন সুতার ছয় হাত লুঙ্গির দাম বেড়েছে গড়ে ৩০ শতাংশ। সিরাজগঞ্জ, পাবনা লুঙ্গির কদর সবচেয়ে বেশি। তবে এই দাম উঠানামা করে রঙের তারতম্যে।
/এমএন