অগণিত মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় শেষ বিদায় নিলেন প্রখ্যাত আলেম হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। বাদ জোহর হাটহাজারীতে ডাকবাংলো মাঠে তার জানাজায় ঢল নামে লাখো মানুষের। নিজের অছিয়ত অনুযায়ী মাদ্রাসার ভেতরে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয় শীর্ষস্থানীয় এই ইসলামী ব্যক্তিত্বকে। তাঁর জানাজাকে কেন্দ্র করে নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আজ সকাল ৯ টায় ঢাকা থেকে আল্লামা শাহ আহমদ শফী’র মরদেহ নিয়ে আসা হয় তার আজীবনের কর্মস্থল হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদরাসায়। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী সহ আল্লামা শফী’র অগণিত অনুসারী।
এর আগে সকাল থেকেই সর্বজন শ্রদ্ধেও এই আলেমকে শেষবারের মতো একনজর দেখার জন্য সারা দেশ থেকে ছুটে আসেন অসংখ্য মানুষ। হাটহাজারী মাদ্রাসা মাঠ ছাড়িয়ে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় আশপাশের পুরো এলাকা।
যোহরের নামাজের পর উপজেলা পরিষদের ডাকবাংলো মাঠে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় আল্লামা আহমদ শফী’র নামাজের জানাজা। ইমামতি করেন তাঁরই ছেলে মাওলানা ইউসুফ।
জানাজা শেষে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ দোয়া এবং মোনাজাত। দেশের শীর্ষস্থানীয় এই আলেমের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন তার পরিবারের সদস্য এবং মাদ্রাসার শিক্ষকরা।
জানাজা শেষে এই আলেমের অছিয়ত অনুযায়ী মাদ্রাসার সীমানার ভিতরেই বায়তুল আতিক জামে মসজিদ কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে। সুষ্ঠুভাবে জানাজা সম্পন্ন করায় এবং সার্বিক নিরাপত্তায় হাটহাজারী সহ চট্টগ্রামের ৪ উপজেলায় চারজন নির্বাহী ম্যাজিশট্র্যাটের নেতৃত্বে ১০ প্লাটুন বিজিবি সহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় সড়কের যান চলাচল।