বিচার বিভাগীয় তদন্তে ৬ শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা

0
0


ফাইল ছবি

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ও বিচার বিভাগীয় তদন্তে ৬ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে আগামীকাল বুধবার (১ মার্চ) আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনায় দুইটি তদন্ত প্রতিবেদন বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করে পরবর্তী আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।

রিটকারী আইনজীবী গাজী মো. মোহসীন জানান, নির্যাতন ও ভিডিও ধারণকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে। মোট ১১ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন এবং এর সঙ্গে শতাধিক পৃষ্ঠার সংযুক্তি জমা দেয়া হয়েছে।

ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরীসহ পাঁচজনকে ইতোমধ্যে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল কর্তৃপক্ষ গতকাল সোমবার এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়।

সানজিদা চৌধুরী ছাড়া বহিষ্কৃত অন্য শিক্ষার্থীরা হলেন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মুয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম এবং ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে সাড়ে চার ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ করেন ফিন্যান্স বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী। ভুক্তভোগীর ভাষ্য, সানজিদা চৌধুরীর নেতৃত্বে তাকে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের সময় তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল ও ঘটনা কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।

পরে ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হলের প্রাধ্যক্ষ ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনায় রিট হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের পাশাপাশি কিছু নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, এ ঘটনায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এ তদন্ত কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। ছাত্রলীগের তদন্ত প্রতিবেদনেও ফুলপরীকে নির্যাতনের সত্যতা পাওয়া গেছে।

/এমএন