নারায়ণগঞ্জে দেড় মাস আগে এক কিশোরীর হত্যা, ধর্ষণের লোমহর্ষক বর্ণনায় কেদেছিলেন অনেকেই। কথিত সেই নির্যাতিতা এবার শশরীরে ফিরলেন অক্ষত অবস্থায়। এতদিন পুলিশের বরাতেই জানা যাচ্ছিল, ধর্ষণের পর খুন হয়েছে সেই কিশোরী।
এমনকি ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারুক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে তিনজন। কিন্তু মাসখানেক পর সেই কিশোরী মাকে ফোন করলে বেরিয়ে আসে প্রকৃত কাহিনী।
জানা যায়, এতদিন কথিত প্রেমিকের সাথে ছিল ওই কিশোরী। মেয়েটির ফিরে আসায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের তদন্ত আর ১৬৪ ধারায় স্বীকারুক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়ে। ঘটনাটি তদন্তে পুলিশ একটি কমিটি গঠন করেছে।
গত ৪ জুলাই নিজ বাড়ি থেকে হঠাৎ লাপাত্তা হয় নারায়ণগঞ্জ শহরের পাক্কা রোডের বাসিন্দা প্রতিবন্ধী এক কিশোরী। প্রায় মাসখানেক বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে মেয়েকে না পেয়ে বাবা-মা মামলা করেন থানায়।
সেই মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করে আব্দুল্লাহ, রকি ও খলিল নামের তিনজনকে। পুলিশের ভাষ্য শীতলক্ষ্যা নদীতে বেড়াতে নিয়ে তারা ধর্ষণ করে কিশোরীকে। পরে হত্যা করে মরদেহ ফেলে দেয় নদীতে। ১৬৪ ধারায় এমন জবানবন্দির পর তাদের পাঠানো হয় জেল হাজতে।
কিন্তু সম্প্রতি কিশোরি মায়ের মোবাইলে একজন ফোন দিয়ে নিজেকে তার কন্যা পরিচয় দেয়। পরে সেই ফোন কলের সূত্র ধরে জানা যায় ধর্ষণ, হত্যা সব খবরই কেবল গল্প। পাওয়া যায় অই কিশোরী ও তার প্রেমিককে। কিশোরীর পরিবারের লোকজন বলছেন মেয়ে ফিরে আসায় এখন তারা মামলা তুলে নিবেন।
মামলার প্রধান অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ’র মায়ের দাবি মিথ্যা মামলা সাজিয়ে তার ছেলেকে মারধোর করে জবানবন্দি নেয়া হয়। তিনজনের জবানবন্দি বা কিশোরী হত্যার বিষয়টি নিয়ে পুলিশ খোলাখুলি কিছু বলছে না।
পুলিশের তালিকায় যে কিশোরী ধর্ষণের পর খুন হয়েছে তার ফিরে আসার ঘটনায় বিব্রত তারা। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের জানালেন, মামলার তদন্ত ভার ছিল এসআই শামীমের হাতে। তদন্তে কোনো গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে গুরুত্বের সাথে।
আরো পড়ুনঃ
- মেজর সিনহা হত্যা মামলার প্রধান ৩ আসামী আবারো ৪ দিনের রিমান্ডে
- সিলেটে অবৈধভাবে পাহাড় কাটাতে সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি ও সরঞ্জাম ব্যবহার
- আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন পাপিয়া!
- নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারেন্টের বিচার শুরু!
- কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ৫৭ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি
Our Facebook Page : আমরা মৌলভীবাজারি – Amra Moulvibazari