ডালের বাজারে নৈরাজ্য যেন থামছেই না। আমদানি বিড়ম্বনায় এমনভাবে দাম বাড়ছে বলে দাবি পাইকারদের। তারা বলছে, ডলারের বিনিময়মূল্য বাড়ার প্রভাব পড়ছে ডালের বাজারে। অন্যদিকে দোকানিদের অভিযোগ, পাইকারী বাজার ও আড়তে কোনো তদারকি নেই। অতিরিক্ত মুনাফা লোভীরা এর সুযোগ নিচ্ছে ।
সরেজমিন দেখা গেছে, বাজারে মাছ, মাংস, চাল, তেলসহ বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম চড়া। এমন মূল্যবৃদ্ধির ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষেরা।
এরমধ্যেই সব ধরণের ডালের দাম বৃদ্ধি যেন আরও অসহায় করে তুলেছে ক্রেতাদের। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়ে গেছে সব ধরণের ডালের দাম। মানভেদে কেজিপ্রতি ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা দাম বেড়েছে। খাবার তালিকায় ডালের যোগান দিতে বেশ বেকায়দায় পড়েছে নিন্ম আয়ের ক্রেতারা।
ক্ষুব্ধ ক্রেতারা বলছেন, বাজারের উত্তাপে তারা অতিষ্ঠ। ডালের পাশাপাশি সব ধরণের খাদ্যপণ্যেরই দাম বাড়ানো হচ্ছে। নামকাওয়াস্তে তদারকি চললেও, এর সুফল মিলছে না।
সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে মুগ আর বু্টের ডালের। কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। আর ২০ টাকা বেড়ে এক কেজি মুগ ডাল মিলছে মানভেদে ১৬০ থেকে ১৯০ টাকার মধ্যে। ১৩০ টাকার নীচে মিলছে না ছোলা বুট। আর মশুর ডালের জন্য গুণতে হবে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। দাম বৃদ্ধির জন্য পাইকারী ব্যসায়ীদের দিকে অভিযোগ তুলছেন খুচরা বিক্রেতারা।
জানা গেছে, দেশের ডালের চাহিদার সিংহভাগই পূরণ হয় আমদানির মধ্যেমে। বছরে চাহিদা ২৬ লাখ টন। এরমধ্যে আমদনি হয় ১৬ টন। বাকীটা দেশে উৎপাদিত হয়।
পাইকারি বিক্রেতাদের অভিমত, ডলারের উচ্চ বিনিময় মূল্যের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এলসি বিড়ম্বনায় পণ্যের আমদানি কমেছে। চাহিদার তুলনায় যোগান কমেছে বলেও অভিযোগ পাইকারি ব্যবসায়ীদের।
এদিকে, রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থা টিসিবির তথ্যানুযায়ী এক বছরে মুগ ডালের দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশের বেশি। আর বুটের ডালে দাম বেড়েছে ৪৮ শতাংশ।
/এমএইচ