ক্রেমলিনে হামলাচেষ্টার পর ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও বাড়লো। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় গোলাবর্ষণ ও মিসাইল হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকালেও ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলোয় বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কির দাবি, হামলার অজুহাত তৈরির জন্যই ক্রেমলিনে বিস্ফোরণের গল্প সাজিয়েছে রাশিয়া। খবর রয়টার্সের।
মঙ্গলবার (২ মে) রাতে ক্রেমলিনে ড্রোন হামলা চেষ্টা নিয়ে এখন তোলপাড় চলছে বিশ্বজুড়ে। ভিডিওতে দেখা গেছে, ক্রেমলিনে আঘাত হানার আগমুহুর্তে বিস্ফোরিত হয় একটি ড্রোন। রাশিয়ার অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট পুতিনকে হত্যার লক্ষ্যেই ড্রোন পাঠানো হয় ইউক্রেন থেকে।
যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।
ক্রেমলিনে হামলার কঠোরভাবে এ হত্যাচেষ্টার জবাব দেয়ার হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। ফলস্বরূপ, ইউক্রেনে জোরদার হামলা চালিয়েছে রুশ বিমান বাহিনী। বুধবার (৩ মে) থেকেই রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি শহরে বিমান হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এতে ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছে খেরসনে।
ইউক্রেনের দাবি, হামলা জোরদারের অজুহাত তৈরির জন্যই হত্যাচেষ্টার নাটক সাজিয়েছে মস্কো। এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, পুতিন বা মস্কোর ওপর কোনো হামলা আমরা চালাইনি। আমরা আমাদের নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষার জন্য লড়ছি। নিজেদের গ্রাম আর শহর রক্ষায় যুদ্ধ করছি। অন্য কোথাও ব্যবহারের মতো অস্ত্র আমাদের হাতে নেই। তাই, অযথা কোনো খরচ আমরা করছি না। আর, পুতিনের ওপর হামলার কোন পরিকল্পনা কখনই ছিল না।
কিয়েভের ঘনিষ্ঠ মিত্র ওয়াশিংটনেরও ইঙ্গিত এ হামলার পশ্চাতে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের দিকে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারেন জ্যঁ পিয়েরে এ প্রসঙ্গে বলেন, কারা ক্রেমলিনে হামলা চালিয়েছে বা আদৌ এটি হামলা কিনা- সেটি এখনই বলা বেশ মুশকিল। অকাট্য প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র করবে না। এ যুদ্ধের শুরু থেকেই ইউক্রেনকে নিজ সীমানা ছাড়া অন্য কোথাও হামলা চালাতে নিষেধ করেছে মার্কিন প্রশাসন। অপরদিকে, রাশিয়ার নিজ ব্যক্তি ও স্থাপনায় আক্রমণের অনেক পুরোনো ইতিহাস আছে।
এদিকে মস্কো বলছে, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ঠেকানো হয়েছে ইউক্রেনের দুটি ড্রোন। ঘটনার সময়, বাসভবনে ছিলেন না পুতিন। ড্রোন বিস্ফোরিত হলেও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি ক্রেমলিনের।
/এসএইচ