করোনা চিকিৎসায় গত ২১ মার্চ রিজেন্ট হাসপাতালের সাথে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চুক্তি হয়। ওই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য মন্ত্রী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তখনকার মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ সহ কয়েকজন সচিব উপস্থিত ছিলেন।
কিন্তু করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেয়া, সরকারের কাছে বিল দেয়ার পর আবার রোগীদের কাছ থেকে অর্থ নেয়া সহ নানা অনিয়মের খবর পেয়ে গত ৭ ও ৮ জুলাই অভিযান চালিয়ে রিজেন্ট হাসপাতাল বন্ধ করে র্যাব।
প্রশ্ন উঠে হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ ছিল না জেনেও কীভাবে রিজেন্টের সাথে চুক্তি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এমনকি হাসপাতালটিতে ছিল কোভিড চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা।
সেই প্রশ্নের জবাব দিতে বৃহস্পতিবার জাজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে স্বাক্ষরকারী তৎকালিন ডিজি ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ। তবে তার সময়ে রিজেন্ট, জেকেজি, মাস্ক কেলেঙ্কারীর অভিযোগ উঠলেও কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়ে নিজেকে যোগ্য দাবি করে দ্বিতীয় দফায় পদোন্নতি দেয়া হয় বলে জানান তিনি।
রিজেন্ট হাসপাতালের সাথে চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করার পর রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হওয়া চুক্তির নথিপত্র ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। যাচাই বাচাই ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন তদন্ত কর্মকর্তা।