গ্রেফতারের পরও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে হুমকি ও তার দিকে তেড়ে আসার চেষ্ঠা করেন বরগুনার আমতলী উপজেলার পৌর যুবলীগের সভাপতি আরিফুল হাসান।
অতিরিক্ত যাত্রী ও করোনা প্রতিরোধে মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে গত ৮ আগস্ট আমতলী লঞ্চ ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন।
এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে যুবলীগ নেতা আরিফ ও তার সহযোগীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চেয়ার ছুড়ে মারে ইউএনওর গায়ে।
বেপরোয়া এই যুবলীগ নেতা বিএনপি সরকারের আমলে বাবা আওয়ামীলীগ করলেও যোগ দেয় ছাত্রদলে। আবার আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে যোগ দেয় যুবলীগে।
উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতারা বলছেন নানা অপকর্মে নিজেকে বাঁচাতে সরকার দলের রাজনীতিতে যোগ দেয় এরা। আর এই সুবিধা নিয়ে হয়ে যায় বেপরোয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘটনার দিন জনস্বার্থেই কাজ করছিলেন।
তবে যুবলীগ নেতার পক্ষে সাফাই গাইলেন জেলা যুবলীগের সভাপতি। তাকে নির্দোষ ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
গ্রেফতারের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাদী হয়ে তাকে হত্যা চেষ্ঠা ও সরকারী কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে আমতলী থানায় ৩ জনের নামে ও ১০ থেকে ১১ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করেন। তবে এদের মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে মাত্র দুই জন।