একবেলা খেলে আরেক বেলার খাবার জুটবে কিনা তা জানে না ইয়েমেনের অন্তত দু’কোটি মানুষ। এমন আতঙ্কের খবর জানিয়ে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি WFP বলছে, ইয়েমেনে খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। অভিযোগ করেছে, এমন পরিস্থিতিতেও কোনো দাতা দেশই সময়মতো সহায়তা দিচ্ছে না। তাই দিয়েছে জরুরি ভিত্তিতে সহায়তা দেয়ার তাগিদ।
টানা সংঘাত, সহিংসতা আর দারিদ্র্যতার কারণে সারা বছর অভাব অনটন লেগেই থাকে দেশটিতে। ইয়েমেনে প্রায় আড়াই কোটি শিশু ভোগছে অপুষ্টিতে।
চিকিৎসকরা বলছেন শুধু অপুষ্টি নয়, পরিবেশের কারণেও মানসিক ভাবে অসস্থ ইয়েমেনের মানুষ। প্রয়োজন বিনোদনের। দীর্ঘদিন বন্দী অবস্থা ও প্রতিকূল পরিবেশে থাকায় এমনটা হয়েছে ইয়েমেনের মানুষের।
জাতিসংঘ বলছে ইয়েমেনে খাদ্য নিরাপত্তা সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। অঞ্চলটির কমপক্ষে আশি ভাগ মানুষের জন্য জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। দাতা দেশগুলোর অবহেলার কারণে এই সংকট আরো বাড়তে পারে।
ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের হামলার পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের কারণে কড়াকড়ি, পঙ্গপাল এবং নানা কারণে এই বছর সংকট বেড়েছে বহুগুণ।