আলমগীর হোসেন:
চার মাসের ব্যবধানে মালয়েশিয়াগামী উড়োজাহাজ ভাড়া বেড়েছে দ্বিগুণ। মূলত, গত বছরের আগস্ট থেকে কর্মী যাওয়া শুরু হলে ২৫ হাজার টাকার টিকেটের দাম ছাড়িয়েছে ৫০ হাজার টাকা। হাঠাৎ করেই ভাড়া বৃদ্ধিতে মালয়েশিয়া থেকে ছুটিতে আসা কর্মীরা বেকায়দায় পড়েছেন।
ক্ষুব্ধ এক প্রবাসী বললেন, করার কিছুই নেই। যেতে তো হবে। আরেকজন বললেন, কাজ করে যে টাকা পাই, সে অনুযায়ী টিকিটের দাম বেশি।
জনশক্তি রফতানিকারকরা বলছেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার সাথে সক্রিয় হয়ে উঠেছে টিকিট সিন্ডিকেট চক্র। যার প্রভাব পড়েছে অভিবাসন ব্যয়ে। এখন লাগাম টেনে না ধরলে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলেও আশঙ্কা তাদের।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, কোন অদৃশ্য শক্তির কারণে টিকিটের দাম বেড়েছে, তা আমরা জানি না। এয়ারলাইন্স টিকিট আছে পর্যাপ্ত। টাকা বেশি দিলে মিলে, না হয় মিলছে না।
বায়রার সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক কে এম মোবারক উল্লাহ শিমুল বলেন, যদি এই লাগাম টেনে না ধরা হয়, তাহলে আগামী এক মাস পর এই টিকিটের দাম ৬০ হাজার হতে পারে। ঢাকা-কুয়ালালামপুরের টিকিটের দাম কোনো অবস্থাতেই ৩০ হাজারের বেশি হতে পারে না।
মালয়েশিয়াগামী উড়োজাহাজের ভাড়া বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ বিমানকে দায়ী করেন জনশক্তি রফতানিকারকরা। বলছেন, বাড়তি চাহিদা পুঁজি করে শ্রমিকদের শোষণ করছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি। বাংলাদেশ বিমানকে অনুসরণ করে উড়োজাহাজ কোম্পানিও ভাড়া বাড়িয়েছে বলেও মনে করেন তারা।
কে এম মোবারক উল্লাহ শিমুল বললেন, কোনো দেশে যখন যাত্রী যাওয়ার চাপ থাকে, তখন বাংলাদেশ বিমান ভাড়া বৃদ্ধির মতো কাজগুলো করে থাকে। তারা যখন ওয়ান-ওয়ের টিকিটের দাম ৪৮ হাজার করে, তখন অন্য এয়ারলাইন্সগুলো ৫৫ হাজার করে ফেলে।
ভাড়া বৃদ্ধির কারণ জানতে কয়েক দফা যোগাযোগ করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি মন্ত্রী বা বিমানের কোনো কর্মকর্তার সাথে। এর দায়ভার নিতে রাজি নয় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ও।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, বিমান ভাড়ার দায়িত্ব আমার নয়। প্রবাস হলেই সবকিছু এই মন্ত্রণালয়ের অধীনে দায় দেয়া হবে তা ঠিক নয়। আমাদের কাজ হচ্ছে, উপযুক্ত মানুষ যেন ঠিকমতো যেতে পারে। যেটা আমরা ঠিক মতো করছি। বিমান ভাড়ার বিষয় দেখবে সিভিল অ্যাভিয়েশন।
/এমএন