নানা ঘটনা প্রবাহের পর অবশেষে মাঠই থাকছে কলাবাগানের তেঁতুলতলায়। থানার জন্য দেয়াল নির্মাণ হলেও সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাঠের মালিকানা পুলিশেরই। মাঠটিতে কলাবাগান থানা নির্মাণ করতে চেয়েছিল পুলিশ। তবে, মাঠটি রক্ষার দাবিতে এলাকাবাসী, পরিবেশবিদ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা আন্দোলনে নামে।
এর আগে, বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, মাঠটি গণপূর্তের পরিত্যক্ত সম্পত্তি। পুলিশ, ডিসি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জায়গাটি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আপাতত এটা পুলিশের সম্পত্তি। তেঁতুলতলায় নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হবে কিনা সেটা পরের বিষয় বলেও এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।
গত ২৪ এপ্রিল তেঁতুলতলায় পুলিশের পক্ষ থেকে দেয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করলে মাঠ রক্ষায় প্রতিবাদ শুরু হয়। মাঠ রক্ষার আন্দোলনে নামা সৈয়দা রতনা এবং তার ছেলে মোহাম্মদ ঈসা আবদুল্লাহকে সেদিন প্রায় ১৩ ঘণ্টা কলাবাগান থানায় আটকে রাখলে আরও তুঙ্গে ওঠে প্রতিবাদ। এতে যোগ দেন পরিবেশবাদী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এই মাঠে শিশু-কিশোরদের খেলা বন্ধ হওয়া নিয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যমুনা টেলিভিশন। মাঠটি দখলে নেয়ার সময় শিশু নির্যাতনের মতো ঘটনার সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন বেশ কিছু পুলিশ সদস্য। মাঠে খেলতে চাওয়া শিশুদের প্রকাশ্যে কান ধরে উঠ-বস করানো হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর প্রত্যাহার করা হয় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের। এরপর মাঠটিতে আবারও খেলাধুলা শুরু করে স্থানীয় শিশু-কিশোররা। গত ২৪ এপ্রিল পুলিশ মাঠ দখলে নিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করলে আবারও স্থানীয়দের মাঝে তিক্ততা সৃষ্টি হয়। অবশেষে, মাঠের পক্ষেই সিদ্ধান্ত দিলো সরকার।