বন্যায় ভেসে গেছে সবকিছু। সীমাহীন দুর্ভোগে থাকা মানুষের পাশাপাশি কষ্ট বেড়েছে গৃহপালিত গবাদি পশুরও। যে যেভাবে পারছেন, গরু-ছাগলগুলোকে উঁচু জায়গাতে এনে রাখার চেষ্টা করছেন।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে এমন দৃশ্যই। যে যার মতো করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করলেও চোখে পড়েনি তেমন কোনো ত্রাণ তৎপরতা।
কেবল দশম শ্রেণির গণ্ডি পেরিয়েছে ফখরুল ইসলাম। এ বয়সেই পড়াশোনার পাশাপাশি হাল ধরেছে পরিবারের। কিন্তু বাবা-মা-ভাই-বোনকে নিয়ে এখন কোথায় রাখবে, কী খাওয়াবে, তা নিয়েও রয়েছে চরম দুশ্চিন্তা। সর্বগ্রাসী বন্যা যে ভাসিয়ে দিয়েছে ঘরবাড়ি। এখন সম্বল বলতে আছে শুধু গবাদি পশু। তাই সেগুলোকে বাঁচাতেই উঁচু রাস্তায় ছাউনি বানাচ্ছে ফখরুল।
কয়েকদিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় দফার বন্যায় রীতিমতো দিশেহারা সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষগুলো। সময়ের সাথে সাথে বাড়ছে পানি, তাই দুঃশ্চিতার কোনো শেষ নেই তাদের। উজান থেকে আসা পানি আর ভারি বর্ষণে বন্ধ হয়ে গেছে এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় যাওয়ার প্রায় সবগুলো রাস্তা। প্রয়োজনীয় যোগাযোগের জন্য এখন একমাত্র ভরসা নৌকা।
/এসএইচ