ঢাকা আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শংকর। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেনের দাবি, ‘সুখবর’ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা আসছেন তিনি; তবে সেই সুখবরটি কী তা এখনও তার জানা নেই। অর্থমন্ত্রী জানান, ঢাকা-দিল্লি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিস্তা, সীমান্ত হত্যাসহ অমীমাংসিত সব বিষয়ের পাশাপাশি কানেকটিভিটি নিয়ে আলোচনা হবে। ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিদেশীয় সড়ক নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে চায় বাংলাদেশ। এ নিয়ে ভারত আর থাইল্যান্ডের সমর্থনও মিলেছে বলে জানান ডক্টর মোমেন।
করোনার মধ্যে গত মার্চে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে ঢাকা এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান তিনি। সব ঠিকঠাক থাকলে আসছে জুনে দিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই সফরের আমন্ত্রণপত্র নিয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকা আসছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করে তা হস্তান্তর করবেন তিনি। সম্ভবত এটিকেই সুখবর বলছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, উনি একটি বিশেষ বার্তা দেবেন আমাদের। ভারতীয় পত্রিকা বলছে, উনি আসবেন ও আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত দেবেন। এটা আগেও দাওয়াত ছিল। হয়তো আবার জানানো হবে। দিন-তারিখ জানাতে পারেন হয়তো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করবেন, বার্তা হিসেবে কোনো সুখবর হয়তো দেবেন।
বহুকাঙ্খিত তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সই না হওয়া আর সীমান্তহত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে না পারায় খানিকটা অস্বস্তি আছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এবারের বৈঠকেও থাকছে অমীমাংসিত এসব বিষয়। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ইস্যু তো সারাক্ষণই থাকে। বিভিন্ন সময়ে আমরা দেখা করি। বিভিন্ন আপডেট দেয়া ও নেয়া হয়। তো সেই হিসেবে সবকিছুই আলোচনায় থাকতে পারে। ফরম্যাট অনুযায়ী তাই খুব বড় ও আনুষ্ঠানিক কিছু হয়তো হবে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আপনারা জানেন কী কী ইস্যু; সেগুলোই আবার আলোচনা করা হবে। আর আপনারা জেনে খুশি হবেন, এক বছরে ভারতের সাথে আমাদের ব্যবসা অনেক বেড়েছে; যা ছাড়িয়ে গেছে বিলিয়ন ডলারের বেশি। সেটা আরও বাড়তে পারে।
সড়ক পথে যুক্ত হতে যাচ্ছে ভারত-মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড। কানেকটিভিটির এই সময়ে সেই উদ্যোগের সারথী হতে চায় বাংলাদেশও। প্রতিবেশি ভারতও তাতে নীতিগতভাবে রাজি বলে জানালেন ডক্টর মোমেন। তিনি বলেন, থাইল্যান্ডও রাজি। থাইল্যান্ডের পরররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে। তারাও রাজি। এখন আমলারা তাদের কাজ সম্পন্ন করলেই হয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের আগে মে মাসেই দিল্লি যাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার আগে যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক ছাড়াও উচ্চপর্যায়ের আরও কিছু সভা হওয়ার কথা। কয়েক ঘণ্টার সফর শেষে শুক্রবার সকালেই দিল্লি ফিরবেন এস জয়শংকর।
/এম ই