মহাকাশ! খুব-ই বড় ও জটিল জিনিস। কেউ এটি নিয়ে পড়তে পড়তে মাথার চুল ছিঁড়ে ফেলেন। আবার কেউ বুঝতে-বুঝতে হারিয়ে ফেলেন মানসিক সুস্থতা।
মহাকাশ আবিষ্কারের নেশায় অনেকে-ই হারিয়ে ফেলেন প্রিয়জন-ও। এমনকি মুভিতে-ও এমন অনেক গল্প রয়েছে। এই যেমন ইন্টারস্টেলার সিনেমা। এক মহাকাব্যিক মহাকাশ অভিযানের গল্প, যেখানে মানব সভ্যতা বিলুপ্তির পথে।
মুলত, পৃথিবী বাসযোগ্য না থাকায় একদল মহাকাশচারী নতুন পৃথিবীর সন্ধানে যাত্রা শুরু করে। এই ছবিটি ব্ল্যাকহোল, টাইম ডাইলেশন, গ্র্যাভিটি, এবং স্পেস-টাইম থিওরির মতো জটিল বিজ্ঞানকে অবিশ্বাস্য সিনেম্যাটিক ভিজ্যুয়াল এবং আবেগঘন গল্পের সাথে মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
সিনেমাটির ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট এবং সাউন্ডট্র্যাক দেখে যেকারো মাথা ঘুরে যেতেই পারে। ক্রিস্টোফার নোলানের পরিচালনা এবং ম্যাথিউ ম্যাককনাহির দুর্দান্ত অভিনয় ছবিটিকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। ক্লাসিক!
হঠাৎ, মহাকাশ নিয়ে এতো কথা কেন? কারণ- প্রতি বছর দু’বার আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান দিবস পালন করা হয়। আজ এ বছরের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান দিবস পালন করা হচ্ছে।
একটু পেছনে ফেরা যাক। ১৯৭৩ সালে, অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন অফ নর্দার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার প্রেসিডেন্ট ডগ বার্গার প্রথম জ্যোতির্বিজ্ঞান দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই থেকেই শুরু।
তাই, আজকের দিনে, একটু মহাবিশ্ব নিয়ে কৌতূহলের বশে একটু বই ঘাঁটাঘাঁটি করা যেতে পারে। এই যেমন: এস্ট্রো ফিজিক্স। খুব কঠিন লাগলে মুভি। নাহলে ইউটিউব ভিডিও।
মোট কথা, নতুন কিছু শেখার মাঝে রয়েছে আনন্দ। ঠিক যেমনটা গ্রীক দার্শনিক প্লেটো বলেছেন, ‘জ্যোতির্বিদ্যা আত্মাকে ওপরের দিকে তাকাতে বাধ্য করে এবং আমাদের এই পৃথিবী থেকে অন্য জগতে নিয়ে যায়।’
/এআই