প্রচণ্ড গরমে হতে পারে হিটস্ট্রোক, প্রতিরোধে যা করতে হবে

0
1


বর্তমানে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সঙ্গে বেড়েছে বাংলাদেশের তাপমাত্রাও। ষড়ঋতুর বাংলাদেশে এখন বেশির ভাগ সময়ই শুধু গরমকালের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়। বৈশাখী রোদে খা খা করছে চারিদিক। দেখা নেই বৃষ্টির। সেই সাথে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভ্যাপসা গরম জীবনকে করে তুলেছে দুঃসহ। এই প্রচণ্ড গরমে অনেকে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন।

হিটস্ট্রোক কী?

রোদে বের হলে শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বৃদ্ধি পায়। মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। দীর্ঘ সময় গরমে ও রোদে থাকলে এটি বাড়তে বাড়তে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পেরিয়ে গেলেই হিটস্ট্রোক হতে পারে। এ অবস্থায় কয়েক মিনিটের মধ্যে তাপমাত্রা বেড়ে মানুষ জ্ঞান হারায়। একে একটি জরুরি পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

হিটস্ট্রোকের লক্ষণ কী কী?

মাথা ঝিমঝিম করা, বমি, অবসাদ ও দুর্বলতা, মাথাব্যথা, মাংসপেশির খিঁচুনি, চোখে ঝাপসা দেখা ইত্যাদি। হিটস্ট্রোকের রোগীর ত্বকে ঘাম থাকে না, ত্বক খসখসে, শুষ্ক ও লাল দেখায়, পাশাপাশি হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। শ্বাসকষ্টও হতে পারে। শিশু, বৃদ্ধ, লম্বা সময় ধরে রোদে ও গরমে কাজ করা ব্যক্তিদের হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। গরমে রাস্তায় গাদাগাদি করে ভ্রমণের সময়ও এরূপ ঘটনা ঘটে অহরহ।

প্রতিরোধে যা করতে হবে

পানিশূন্যতা যেন না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। গরমে ও রোদে প্রচুর পরিমাণ পানি, ডাবের পানি, স্যালাইন পান করতে হবে। দুপুরের প্রচণ্ড রোদে ভারী কাজ বা শারীরিক ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে দীর্ঘ সময় অবস্থান করা যাবে না। বাইরে অবস্থান করার সময় সাথে অবশ্যই ছাতা রাখতে হবে।

এটিএম/