সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ:
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ডা. কেরামত আলী মেমোরিয়াল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় এক নবজাতকের দুই পা পুড়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জন্মের ১২ দিন পার হলেও এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেনি ওই নবজাতক। ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে একটি চক্র।
নবজাতকের পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ মার্চ রাতে ডা. কেরামত আলী হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন জয়মন্টপ ইউনিয়নের নাজিরপুর এলাকার শুকুর আলীর সন্তানসম্ভবা স্ত্রী তাজনাহার। রাতেই ওই প্রসূতির অস্ত্রোপচার করেন ডা. মাহমুদা সুলতানা সাকি। অস্ত্রোপচারের পর নবজাতকটি কান্না না করায় তাকে অ্যানালগ পদ্ধতিতে হিট দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ সময় অতিরিক্ত হিট দেয়ায় নবজাতকের দুই পা পুড়ে যায়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই নবজাতককে ঢাকার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। পরে ধানমন্ডির রেনেসাঁ হাসপাতালে নেয়া হয়।
নবজাতকের বাবা শুকুর আলী বলেন, অসাবধানতার সঙ্গে হিট দিয়ে আমার সন্তানের দুই পা পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পরে ধানমন্ডির রেনেসাঁ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সেখানে চার দিনে আমার ১ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখনো শিশুটি আশঙ্কামুক্ত হয়নি।
ডা. কেরামত আলী মেমোরিয়াল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার বিপ্লব দেওয়ান বলেন, আমাদের হাসপাতালে নবজাতকটির জন্মের পর অ্যানালগ পদ্ধতিতে হিট দেয়া হয়। তবে আমরা যখন উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করি তখন শিশুটির পা ভালো ছিল। যেহেতু একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।
মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন মোয়াজ্জেম আলী খান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইউএইচ/