চীনের উহান শহর থেকে উৎপত্তি হওয়া করোনা ভাইরাস এখন সারা বিশ্বে ধারণ করেছে ভয়াবহ রূপ। একের পর এক প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে ছোঁয়াচে এই ভাইরাসটি। চীনের পর সবচেয়ে খারাপ অবস্থা এখন ইউরোপ ও আমেরিকাতে। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রে। মৃত্যুর মিছিল থেমে নেই স্পেনেও।
এই পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্ঠায় মরিয়া বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। দ্রুততম সময়ে কার্যকর ঔষুধ তৈরিতে বিশ্বের অন্তত ৪৪টি প্রকল্পে চলছে দিনরাত গবেষণা। এখনও নিশ্চিত সাফল্য না মিললেও কমপক্ষে ২০টি প্রকল্পে অগ্রগতির খবর পাওয়া গেছে। তবে করোনার ঔষধ বা ঠিকা আবিষ্কার হলেও সব পরীক্ষা-নিথীক্ষা শেষে, তা মানুষের হাতে আসতে সময় লাগতে পারে এক থেকে দেড় বছর।
কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই ছোট-বড় অন্তত ৩৫ টি কোম্পানি ও গবেষণাকেন্দ্র চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে কোভিড ১৯ এর ঠিকা কিংবা ঔষুধ আবিষ্কারের। অন্তত চারটি প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে প্রাণীদেহে চালিয়েছে পরীক্ষা। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত মাসের মাঝামাঝি প্রথমবারের মতো মানবদেহে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্র। সিয়াটলে ৫৫ জন সেচ্ছ্বাসেবীর উপর চালানো ওই পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল পেতে অপেক্ষা করতে হবে ১২ থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত।
মার্কিনিদের পর ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করেছে চীন। ১০৮ জন ভলান্টিয়ারের উপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালায় একাডেমি অফ মিলিটারি মেডিকেল সাইন্সেস ইন উহান।
সীমিত পরিসরে ঔষুধের ট্রায়াল চলছে যুক্তরাজ্যেও।
আর অস্ট্রেলিয়ার গবেষকদের দাবি এন্টিপ্যারাসিটিক ড্রাগ প্রয়োগে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অকার্যকর হয় কোভিড ১৯ কোষ। প্রাণীদেহে প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়ালের পর এপ্রিলের শেষ নাগাদ মানবদেহে এই ড্রাগ প্রয়োগের আশা ভিক্টোরিয়ার সংক্রামক ব্যাধি গবেষণা কেন্দ্রের।
বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণের এমন ক্রান্তিলগ্নেও শুরুতে এগিয়ে আসেনি পিজি ফার্মা, মার্ক, গ্লাক্সোস্মিথ এর মতো ঔষধ ও ভ্যাকসিন শিল্পের বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে দেরিতে হলেও গবেষণায় বরাদ্ধ দিয়েছে সানোফি আর জনসন এন্ড জনসন।
প্রচলিত এন্টি ভাইরাল ঔষুধ কোভিড ১৯ এর বিরুদ্ধে কেমন কাজ করছে সেটিকে ভিত্তি হিসেবে ধরেই চলছে গবেষণা। যক্ষা কিংবা ইবোলা’র ঠিকার প্রয়োগে সাফল্য খুঁজছেন অনেকে। ক্লোরোকুইন ব্যবহারে কোভিড ১৯ ধ্বংসের দাবি করছেন কেউ কেউ।
আবিষ্কারের পরও ঠিকা বিক্রির অনুমোদন পেতে প্রয়োজন হাজারো মানুষের উপর পরীক্ষা। আর সেকারণেই এতো তৎপরতার পরেও ঠিকা বাজারে আসতে সময় লাগতে পারে আরো অন্তত এক-দেড় বছর।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনা ভাইরাস রুখতে তৈরি হচ্ছে বিশেষায়িত হাসপাতাল
Please Likes Our Official Facebook Page : আমরা মৌলভীবাজারি – Amra Moulvibazari