সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের দেয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। তবে ৩৪ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার লিটন দাস, পারভেজ হোসাইন ইমন ও এনামুল হক বিজয়কে হারিয়ে ব্যাকফুটে টাইগাররা।
১৫৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই ৯ রান তুলে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দেন লিটন। দ্বিতীয় ওভারে ভিক্টর নিয়িচুর প্রথম বলে চার মেরে সেই ধারাই অব্যাহত রাখেন লিটন। তবে পরের বলেই সাজঘরে ফিরতে হয় লিটনকে। ৬ বলে ১৩ রান করে ফেরেন লিটন।
লিটনের বিদায়ে অপর ওপেনার পারভেজ হোসাইন ইমনকে সঙ্গ দিতে মাঠে নামেন এনামুল হক বিজয়। তবে ইনিংসের চতুর্থ ও নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই নিয়িচু শিকার করেন ইমনকে। যাওয়ার আগে ৬ বলে মাত্র ২ রান করেন অভিষিক্ত ইমন।
পঞ্চম ওভারে ফের বাংলাদেশ শিবিরে আঘাত হানে জিম্বাবুয়ে। এবার স্পিনার মাধেভেরে বোল্ড করেন বিজয়কে। যাওয়ার আগে ১৩ বলে মাত্র ১৪ রান সংগ্রহ বিজয়ের। সিরিজে আরও একবার ব্যর্থ তিনি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান। ৭ বলে ৯ রান নিয়ে একপ্রান্তে নাজমুল হোসেন শান্ত। আরেক প্রান্তে এই ম্যাচে দলে ফেরা সাবেক অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিনি ৪ বলে ২ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন।
এর আগে, প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে শেষের ব্যাটারদের দৃঢ়তায় ১৫৬ রানের লড়াকু ইনিংস গড়ে জিম্বাবুয়ে। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে টাইগার বোলারদের তোপের মুখে পড়েন জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। এক পর্যায়ে ১৩ ওভারে ৬৭ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ৬ উইকেট। এরপরই পাল্টা প্রতিরোধ গড়েন জিম্বাবুয়ের দুই টেল এন্ডার রায়ার্ন বার্ল ও লুক জঙ্গুয়ে। মাত্র ৩১ বলে দুইজনে মিলে করেন ৭৯ রান। এর মধ্যে নাসুম আহমেদের এক ওভারেই রায়ার্ন বার্ল ৫ ছক্কা ও ১ চারে তোলেন ৩৪ রান। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫৬ রানে। ২৮ বলে বার্লের সংগ্রহ ৫৪ রান। আর জঙ্গুয়ে ২০ বলে করেন ৩৫ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে হাসান মাহমুদ ও মেহেদী হাসান নেন দুটি করে উইকেট। ভুলে যাওয়ার মতো এক ম্যাচ খেলা নাসুম আহমেদ ১টি উইকেট নিলেও ২ ওভারে হজম করেছেন ৪০ রান। মাহমুদউল্লাহও ২ ওভারে ৮ রান দিয়ে এক উইকেট সংগ্রহ করেন।
জেডআই/