স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর:
রংপুরের পীরগাছায় সোনালী ব্যাংকে গুনে দেয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুরের এ ঘটনায় থানায় এজাহার করেছেন ভুক্তভোগী। পুলিশ বলছে, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ফি সার্কেল) আশরাফুল আলম পলাশ জানান, মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার পাওনা ফাজিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবুল হাশেম সিদ্দিকী পীরগাছা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। তাতে তিনি দাবি করেছেন, মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে পীরগাছা সোনালী ব্যাংকে গিয়ে ৫ লাখ টাকা তোলার জন্য চেক লিখতে থাকেন। এ সময় ব্যাংকের স্টাফ পরিচয়ে এক ব্যক্তি তাকে সহায়তা করতে এগিয়ে আসেন। সাদা হাফ শার্ট পরিহিত এবং মুখে মাস্ক ছিল ওই ব্যক্তির। তিনি ব্যাংকে আসা গ্রাহকদের কাগজ-কলম দিয়ে সহায়তা করছিলেন। কিন্তু পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় দুপুর একটার দিতে আসতে বলেন ক্যাশিয়ার। যথাসময়ে গিয়ে হাসেম কাউন্টার থেকে ৫০০ টাকার ১০টি বান্ডিল, মোট ৫ লাখ টাকা উত্তোলন করেন।
এ সময় ব্যাংকের স্টাফ পরিচয়দানকারী ওই ব্যক্তি টাকা গুনতে সহায়তার কথা বলে একটি ৫০০ টাকার বান্ডিল গুনতে থাকে। গুনতে গুনতে তিনি তাকে বলেন, এখানে দু’টি অচল নোট আছে। আমি ক্যাশিয়ারের কাছ থেকে বদল করে নিয়ে আসছি। এই কথা বলে ক্যাশের দিকে গিয়ে হঠাৎ করে ব্যাংক থেকে উধাও হয়ে যায় ওই ব্যক্তি।
অভিযোগে বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে সাথে সাথেই ম্যানেজার আসাদুজ্জামানকে জানালে তিনি বলেন এ ধরনের কোনো ব্যক্তি ব্যাংকের স্টাফ নন। অভিযোগে তিনি দাবি করেছেন, আমার পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যাওয়া ঐ ব্যক্তি ব্যাংকের মধ্যে অনেকের নাম ধরে ডাকাডাকি করছিলেন। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় ওই ব্যক্তি ব্যাংকের স্টাফদের পরিচিত।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আমরা বিকেলে কাজ করতে না পারায় আগামীকাল সকালে ব্যাংক খোলা মাত্রই তদন্ত কার্যক্রম শুরু করব। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে পীরগাছা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার আসাদুজ্জামান দাবি করেছেন, হাশেম নামের একজন গ্রাহক আমাকে বিষয়টি অবহিত করেছেন কিন্তু ঘটনার সময় আমি ব্যাংকে ছিলাম না। ব্যাংকে কোনো সিসি ক্যামেরা না থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আমরা শনাক্ত করতে পারিনি। তবে তিনি যদি ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর পরিচিত হন তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেডআই/