সরকার বিরোধী আন্দোলনের পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনছেন ইমরান খান

0
2


বিরোধী নেতা ইমরান খান সমর্থকদের সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে পাকিস্তানে। বুধবার (৮ মার্চ) ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে লাহোরে বিক্ষোভে নামে পিটিআই নেতা-কর্মীরা। এসময় ব্যাপক ধরপাকড় চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। পুলিশের সাথে ইমরান সমর্থকদের তুমুল সংঘর্ষে প্রাণ যায় একজনের। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের দাবি, জনসমর্থনে ভীত হয়ে তাকে ঠেকাতে একের পর এক কৌশল নিচ্ছে সরকার। খবর রয়টার্সের।

পাকিস্তানের নির্বাচনী ফলাফলে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে জনবহুল পাঞ্জাবের। প্রদেশটির রাজধানী লাহোর থেকেই এবারের নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর ঘোষণা দিয়েছিল তেহরিক-ই-ইনসাফ। তবে কর্মসূচি শুরুর আগেই সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। যা বহাল থাকবে আগামী এক সপ্তাহ।

বুধবার ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করেই শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে র‍্যালি নিয়ে নেতা ইমরান খানের বাড়ির সামনে জড়ো হন নেতাকর্মীরা। সরকার বিরোধী শ্লোগান দেয় তারা। নিরাপত্তা বাহিনী বাধা দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। সমাবেশ ছত্রভঙ্গে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। করা হয় লাঠিপেটাও। গোলাগুলির অভিযোগও করে পিটিআই।

পিটিআই কর্মীদের বিরুদ্ধে ইট-পাটকেল ছোড়ার অভিযোগ করেন প্রাদেশিক তথ্যমন্ত্রী আমির মির। অন্তত সাত পুলিশ আহত হয়েছে বলেও জানান। আন্দোলনকারীদের দাবি, শুরু থেকেই মারমুখী ছিল পুলিশ।

সংঘর্ষে পুলিশের হাতে আটক এক পিটিআই কর্মীর মৃত্যু হয়। টুইটার পোস্টে, আলি নামের ঐ কর্মীকে আটকের ভিডিও প্রকাশ করেন ইমরান। নিরস্ত্র সমর্থকদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানান ইমরান খান। ভিডিওবার্তায় কর্মসূচি বন্ধের ঘোষণা দেন ক্ষুব্ধ পিটিআই নেতা।

বার্তায় ইমরান খান বলেন, সবার আগে আমার রাজপথে থাকা কর্মীদের বলতে চাই, গুলি চলছে। তাই সমাবেশ বন্ধ করুন। আগের পরিকল্পনা আর এগিয়ে নিতে চাই না। সরকার ভয় পাচ্ছে। তাই যেকোনো উপায়ে জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত সময়টা টেনে নিতে চায়। তাদের উদ্দেশ্যই সংঘাত তৈরি করা। সেজন্যই বিক্ষোভ-কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করছি।

গত এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বিদায় নেন ইমরান খান। একের পর এক মামলা দিয়ে কোণঠাসা করে রাখার চেষ্টা করছে জোট সরকার। জারি হয় গ্রেফতারি পরোয়ানাও। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের অভিযোগে চলতি সপ্তাহেই ইমরান খানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটির গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।

এটিএম/