বরকতের মাস রমজানে পটুয়াখালীতে ছিন্নমূল মানুষের ক্ষুদার জ্বালা মেটাতে কাজ করছে এক দল তরুণ। অন্যদিকে হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের সেহরি ও ইফতার খাবারের কথা চিন্তা করে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ। সদর হাসপাতাল চত্বরের সামনে বসিয়েছে ফ্রি খাবারের স্টল। মানবিক এসব কাজের জন্য সাধুবাদের পাশাপাশি অর্থ সহায়তাও দিচ্ছেন অনেকে।
রমজান মাসকে ঘিরে পাল্টে গেছে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের চিত্রও। সবখানে শুনসান নীরবতা। পর্যটকের আনাগোনা না থাকায় দু-বেলার খাবার জোগানোই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে ভবঘুরেদের।
এসব অসহায় মানুষদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে একদল তরুণ। প্রতিদিন নিজেদের তৈরি খাবার নিয়ে মোটরসাইকেলে করে ছুটে যাচ্ছেন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়। মানবসেবায় অংশ নিতে পেরে খুশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা। বলছেন, কোনোদিন খিচুড়ি আবার কোনোদিন ভাত, বিভিন্ন ধরনের খাবার তারা এসব ছিন্নমূল মানুষদের মুখে তুলে দিতে কাজ করছেন। প্রতিদিন সব মিলিয়ে ৩০-৩৫ জন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তারা।
কুয়াকাটা টুরিষ্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর হাসনাইন পারভেজ বলেন, তাদের এই উদ্যোগের কারণে এসব অসহায় মানুষ অন্তত পক্ষে অভুক্ত থাকে না, এতোটুকু নিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে, হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের খাবারের সমস্যা, তাই ইফতার ও সেহরিতে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উদ্যোগে। হাসপাতাল চত্বরে বসানো হয়েছে ফ্রি ইফতার অ্যান্ড সেহরি শপ। যেখান থেকে প্রতিদিন বিনামূল্যে ১৬০ জনকে দেয়া হচ্ছে খাবার। ভিন্ন ধারার এই আয়োজনে স্বেচ্ছায় শ্রম ও অর্থ সহায়তা দিচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।
এসজেড/