ইউরোপ সেরার মঞ্চে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগের রাউন্ড অব সিক্সটিন থেকে ছিটকে গেলো মেসি-এমবাপ্পের পিএসজি। দ্বিতীয় লেগের খেলায় বাভারিয়ানদের কাছে ২-০ গোলে হেরে যায় ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নরা। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ গোলের ব্যবধানে জিতে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে বায়ার্ন মিউনিখ।
ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় পিএসজিকে আতিথ্য জানায় বায়ার্ন মিউনিখ। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে হেরে কাজটা হয়ে ভীষণ কঠিন পড়েছিল পিএসজির জন্য। চ্যাম্পিয়নস লিগে চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা বায়ার্নের মাঠে জয়ের চ্যালেঞ্জ নিতে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক গতিতে খেলতে থাকে গালতিয়েরের শিষ্যরা।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতেন ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু এমবাপ্পের শটের সামনে প্রতিরোধের দেয়াল হয়ে দাঁড়ায় বায়ার্ন গোলরক্ষক ইয়ান সমের। ম্যাচের ১৯তম মিনিটে আবার সুযোগ পান এমবাপ্পে, এবার তিনি মারেন বাইরে। এর ঠিক ছয় মিনিট পর ডি বক্সে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে যান মেসি। তার তিনটি শট জটলার মধ্য থেকে ফিরিয়ে দেন বায়ার্নের ডিফেন্ডার ডি লিট। শেষ পর্যন্ত গ্লাভসে নিতে পারেন সমের।
৩২তম মিনিটে নিজেদের প্রথম ভালো সুযোগ পায় বায়ার্ন। জামাল মুসিয়ালার শটে ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন পিএসজি গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে আশরাফ হাকিমির চ্যালেঞ্জের মুখে সমের তালগোল পাকালে বক্সের মধ্যে ফাঁকা বল পেয়ে যান ভিতিনিয়া। কিন্তু দুর্বল শটে ফাঁকা জালে বল পাঠাতে পারেননি তিনি। দারুণ স্লাইডে গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন ডি লিট। এরপর আরও কয়েকটি সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলে সমতা নিয়ে শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলের দারুণ একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন এরিক মাক্সিম চুপো-মোটিং। ৫২তম মিনিটে বল জালে পাঠান তিনি। কিন্তু অফসাইডের জন্য গোল মেলেনি। পিএসজিকে চেপে ধরে এগিয়ে যেতেও বেশি সময় নেয়নি বায়ার্ন। নিজেদের বক্সের মধ্যে মার্কো ভেরাত্তি বল হারালে পেয়ে যান লেয়ন গোরেটস্কা। সুযোগ থাকলেও নিজে শট না নিয়ে তিনি খুঁজে নেন অরক্ষিত চুপো-মোটিংকে। গোল করতে ভুল করেননি তিনি।
মাঝে বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি পিএসজি। ৮৯তম মিনিটে পিএসজির ক্ষীণ আশাটুকুও শেষ করে দেন সের্গে ন্যাব্রি। প্রতি আক্রমণে জোয়াও কানসেলোর কাছ থেকে বল পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। তারই মাঝে আরও একবার ইউরোপ সেরার মঞ্চ থেকে শূন্য হাতে ফিরলো পিএসজি।
/আরআইএম