রমজানের আগেই বাড়ছে দেশি ফলের দাম, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার আশ্বাস কর্তৃপক্ষের

0
1


আমদানি করা ফলের দাম বেশি, তাই অনেকে এখন ঝুঁকছেন দেশি ফলের দিকে। তবে চাহিদা বেশি থাকায় সুযোগ নিচ্ছে অসাধু চক্র। রমজানের আগেই দাম বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। পাইকাররা বলছেন, বাড়তি পরিবহন খরচ ও পথে পথে চাঁদাবাজির কারণে দাম বেড়ে যাচ্ছে। তবে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপের পাশাপাশি ডলারের উচ্চ বিনিময় মূল্যের কারণে ফলের আমদানি কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ। আর এতে করে বেড়েছে দেশীয় ফলের চাহিদা। কলা, পেয়ারা, তরমুজসহ নানা ধরণের ফলের দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ।

রমযান মাসে ফলের চাহিদা বাড়ে। আমদানি করা ফলের উচ্চ মূল্যের কারণে, অনেকেরই ভরসা এখন দেশি ফল। কিন্তু সীমিত আয়ের মানুষের অনেকটা নাগালের বাইরে দাম।

বাজারে এখন দেশি পেয়ারা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, যা সপ্তাহ খানেক আগেও ছিল ৬০ টাকা। বর্তমানে মাঝারি মানের একটি তরমুজের দাম ৩৫০ টাকা, আনারস ৫০ টাকা। পেঁপের কেজি ৮০ টাকা। মান ভেদে বরই বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। প্রতিপিস বাঙ্গীর জন্য গুনতে হবে ৬০ টাকা। এক ডজন সবরি কলা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, রাজধানীর পাইকারি বাজারে আমদানি করা ফলের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দেশীয় ফলের চাহিদা বেড়েছে। এতে প্রভাব ফেলছে দামে।

পাইকাররা বলছেন, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে পরিবহন খরচও বেড়েছে। পথে পথে বাড়তি চাঁদাও দিতে হচ্ছে। এর প্রভাবে বাড়ছে দামে। তবে ক্রেতা-ভোক্তাদের সংগঠন (ক্যাব) বলছে, শুধুমাত্র পরিবহন ভাড়ার এতটা প্রভাব ফলের দামে পড়াটা অযৌক্তিক। চাঁদাবাজি বন্ধের পাশাপাশি মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরত্ব কঠোর হাতে দমন করতে হবে।

এ নিয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মধ্যস্বত্বভোগীর সংখ্যা বেশি। উৎপাদন ব্যয়ও বাড়ছে। পরিবহন ব্যবস্থায় এখন অনেক সুবিধা হলেও বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতাও আছে। সব মিলিয়েই দাম ঊর্ধ্বগতি।

এদিকে, রমজানকে কেন্দ্র করে দেশি ফলের দাম বাড়ালে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, উৎপাদন খরচ বাড়ার পর কৃষকদের লাভ কতটুকু থাকছে সে বিষয়টা আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। তবে বিপণন ব্যবস্থায় কিছু সমস্যা আছে স্বীকার করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এবার ব্যবসায়ী কমিটির বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

এসজেড/