ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা; মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক জড়িত

0
7
ধর্ষণের পর হত্যা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মাদ্রাসা ছাত্রী আমেনা আক্তার জেরিনের মৃত্যুর রহস্য এখনো উদঘাটন হয় নি। স্বজনদের দাবি আত্মহত্যা নয়, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ষষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থী জেরিনকে।

এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় এরই মধ্যে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

একমাত্র মেয়েকে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পাঠিয়েছিলেন মাদ্রাসায়। সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নাড়িছেড়া ধন বাড়ি ফিরে লাশ হয়ে। সন্তানের মৃত্যুশোকে পাগলপ্রায় মা।

নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জে জান্নাতুল ফেরদাউস মাদ্রাসার হোস্টেলে থেকে পড়ালেখা করতো ষষ্ঠ শ্রণির শিক্ষার্থী আমেনা আক্তার জেরিন।

গত সোমবার বিকাল থেকে তার খোঁজ মিলছিলো না। রাতে হোস্টেল ভবনের চিলেকোঠায় ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

অভিযোগ মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়।

জড়িতদের সর্বোচ্চ সাজার দাবিতে বিক্ষোভ মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা।
এই ঘটনায় আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় এলাকাবাসী।

এ ঘটনায় ছয় জনকে আসামী করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেছে জেরিনের পরিবার। গোলাম মোস্তফা সহ চার শিক্ষককে গ্রেফতার করে নেয়া হয়েছে কারাগারে।
ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলছে পুলিশ।

জান্নাতুল ফেরদাউস মাদ্রাসায় প্রায় দুইশ ছাত্রীর মধ্যে আবাসিক হোস্টেলে থাকেন পঞ্চাশ জন। ঘটনার পর থেকেই বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।


আরো পোস্টঃ  বিদ্যুৎ এর দাম বাড়লো আবার


Our Facebook Page : আমরা মৌলভীবাজারি – Amra Moulvibazari