জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন আবারো খারিজ হয়ে গেছে।
দুপুরে দুই পক্ষের শুনানির পরেই এই সিদ্ধান্ত জানান হাইকোর্ট। শুনানিতে খালেদা জিয়ার পছন্দমতো জায়গায় চিকিৎসার দাবি জানান আইনজীবিরা। বলেন চিকিৎসা ঝুকিপূর্ণ বলেই বিএসএমএমইউ তে সম্মতি দেন নি বিএনপি চেয়ারপার্সন।
অন্য দিকে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন কেউ ভয় পেয়ে চিকিৎসা থেকে দূরে থাকলে সেটি হাসপাতালের দূষ নয়।
দুদক আইনজীবি বলেন এই মামলায় জামিন পাওয়া খালেদা জিয়ার আইনি কোনো দিক নেই।
বেলা পৌনে এগারোটার দিকে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়।
খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থার উপর মেডিকেল রিপোর্ট হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা হয়।
তার আইনজীবিদের অভিযোগ সরকার নিয়ন্ত্রিত হাসপাতাল থেকে নিরপেক্ষ মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়া সম্ভব নয়।
শুনানিতে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ আদালতে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে যে প্রতিবেদন দেয় সেখানে কোথাও বলে নি যে খালেদা জিয়ার যে সমস্যা ও রোগ গুলো রয়েছে সেইগুলোর চিকিৎসা করার সচ্ষমতা তাদের নেই। অর্থাৎ বিএসএমএমইউ এর সেই রোগের চিকিৎসা করার সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া সম্মতি দিচ্ছেন না।
তখন আদালত তার আদেশে বলেন যে বিএসএমএমইউ দেশের সর্বোচ্চ বিশেষায়িত একটি হাসপাতাল। যেখানে রোগীদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া তার চিকিৎসায় সম্মতি দিচ্ছেন না কিন্তু তার ইচ্ছা মতো সবকিছু করা সম্ভব নয়। কারণ তিনি একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামী। যেহেতো সাজাপ্রাপ্ত আসামী তার চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়াদি বিবেচনা করতে হয়।
এজন্য আদালত বলেছেন যে বেগম খালেদা জিয়াকে এখানেই চিকিৎসা নিতে হবে। অন্য কোথাও তাকে চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব না। যেহেতু বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা করানো সম্ভব।
এজন্য আদালত আরো বলেন, খালেদা জিয়ার যে মেডিকেল বোর্ড রয়েছে সেই বোর্ড কর্তৃপক্ষ যেন খালেদা জিয়ার সম্মতি নিয়ে তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
বেরিয়ে এসেছে পাপিয়ার বস্তা ভর্তি টাকার রহস্য | Shamima Nur Papiya
Our Facebook Page : আমরা মৌলভীবাজারি – Amra Moulvibazari