বগুড়া ব্যুরো:
বগুড়ার সদরের শাখারিয়া নওদাপাড়ায় করতোয়া নদী ভরাট করে সড়ক নির্মাণের দায়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ-টিএমএসএস’কে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সাথে সময়মতো জরিমানা না দেয়ায় সংস্থাটির এক কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজা পারভীন এ রায় দেন। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জরিমানার অর্থ জমা না দেয়ায় টিএমএসএস ইকো পার্কের ব্যবস্থাপক জাকিরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
জানা গেছে, টিএমএসএস নদী ভরাট করছে- এমন অভিযোগে গত শনিবার (১৮ মার্চ) ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। ওই সময় নদীর সীমানা নির্ধারণের দাবি জানিয়ে মুচলেকা দেন টিএমএসএসের নির্বাহী পরিচালক ড. হোসনে আরা বেগম। মুচলেকা অনুযায়ী সোমবার নদীর সীমানা পরিমাপ করেন ইউএনও ফিরোজা পারভীন। এ সময় করতোয়া নদীর সীমানার মধ্যে ভরাট করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগের সত্যতা পান তিনি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী হাকিম। অনাদায়ে টিএমএসএসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ৩ মাসের কারাদণ্ডও দেয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে ইউএনও ফিরোজা পারভীন বলেন, করতোয়া নদীর মাঝ বরাবর বালি দিয়ে একটি রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছিলো। এছাড়াও, নদীর একটি অংশে ময়লা ও বালু ফেলে ভরাট করছিল টিএমএসএস। এ জন্য টিএমএসএসকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ জানান, জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে পারবেন না জানিয়ে টিএমএসএস এর নির্বাহী পরিচালক ড. হোসনে আরা বেগম সন্ধ্যায় তাদের ইকোপার্কের ব্যবস্থাপক জাকিরুল ইসলামকে সদর উপজেলা পরিষদে নিয়ে যান। ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায় অনুযায়ী রাতে ওই কর্মকর্তাকে তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশসহ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
/এসএইচ