বির্তকিত ‘অবসরের বয়সসীমা’ সংক্রান্ত আইন নিয়ে এখনও উত্তপ্ত ফ্রান্স। লাগামহীন বিক্ষোভ-সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছেন ক্ষুব্ধ ফরাসিরা। ব্যাপক বিরোধীতা আর আন্দোলনের পরও এই আইন অনেকটা গায়ের জোরে পাস করায় ম্যাকরন সরকার। আর এরপর থেকেই আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে ফ্রান্সের সাধারণ নাগরিক। খবর আল জাজিরার।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) রেঁনেস শহরের কেন্দ্রস্থলে বিক্ষোভ করেন ফরাসিরা। এ সময় সরকার বিরোধী স্লোগান তোলেন দেড় হাজার বিক্ষোভকারী। কয়েকটি গাড়ি আর ডাস্টবিনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে পুলিশ সদস্যরা। ব্যাপক ধরপাকড়ও চালানো হয়।
এ ঘটনায় শনিবার ১১ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। তীব্র আন্দোলন-সহিংসতার মধ্যেই শুক্রবার আইনে পরিণত হয় ফ্রান্সের বিতর্কিত পেনশন সংস্কার প্রস্তাব। বিলটিতে অনুমোদন দেয় ফ্রান্সের সাংবিধানিক পরিষদ। স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনও।
সেপ্টেম্বর থেকে আইনটি কার্যকরের ঘোষণায় তীব্র হয়েছে জনরোষ। নতুন আইনের ফলে ফ্রান্সে অবসরের বয়সসীমা ৬২ থেকে ৬৪ বছর করা হলো। এর ফলে, পুরো পেনশন পেতে অতিরিক্ত দু’বছর কাজ করতে হবে।
এসজেড/