ভাস্কর ভাদুড়ী:
কাউন্সিলর এবং ডেলিগেটদের একমাত্র পছন্দ হিসেবে ২২-তম সম্মেলনেও আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বর্তমান সভাপতি শেখ হাসিনা। তবে তৃণমূলের সকলের আগ্রহ, কে হতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনার রানিং মেট সাধারণ সম্পাদক। নতুন মুখ হিসেবে একের অধিক যোগ্য নেতার নাম উঠে এসেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের মত, ভবিষ্যতে রাজপথ এবং সরকার উভয়পক্ষে দল সামলাতে পারেন, এমন ব্যক্তিকেই বেছে নেবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
টানা ক্ষমতার ১৩ বছরে তৃতীয়বারের মতো সম্মেলনের প্রস্তুতি নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ২২তম সম্মেলনেও তৃণমূলের একমাত্র পছন্দ হিসেবে দলীয় সভাপতি থাকছেন শেখ হাসিনা এটা এক প্রকার নিশ্চিত। টানা দশমবারের মতো সভাপতি হতে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
বরাবরের মতোই এবারও সকলের কৌতুহল, কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক। ইতোমধ্যেই টানা দুই মেয়াদে এই দায়িত্ব পালন করছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দলটির ইতিহাসে টানা তিন মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক থাকার নজির হাতেগোনা। সে হিসেবে এই পদে নতুন মুখ দেখার সম্ভাবনা অনেকটাই প্রবল।
সম্মেলনের ঘোষণা আসার সাথে সাথেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে আছেন দলের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের নাম। গত দুই সম্মেলনে দলের গঠনতন্ত্র, ইশতিহার এবং ঘোষণাপত্র তৈরির নেতৃত্ব দেয়া ড. রাজ্জাকের নাম উঠে এসেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং তৃণমূলের কর্মীদের মুখে।
রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা বিবেচনায় আলোচনায় আছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। অনেকে বলছেন, দল এবং সরকারকে পৃথক করার নীতিতে অটল থাকলে এই দৌড়ে এগিয়ে থাকবেন নানক।
যোগ্যতায় পিছিয়ে নেই দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমানও। সবশেষ সম্মেলনের পর থেকে স্থানীয় পর্যায়ের কোন্দল নিরসন এবং উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সাবেক এই ছাত্রনেতা পালন করেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
সাধারণ সম্পাদকের যোগ্যতা বিবেচনায় বরাবরেই মতোই আলোচনায় আছেন মাহবুবউল আলম হানিফ। বিগত তিন জাতীয় নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা হানিফ দলীয় কোন্দল মেটাতে বিভিন্ন সময় রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
তবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর বা নানা ধরনের লবিং যাই হোক না কেন, সাধারণ সম্পাদকের বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন স্বয়ং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাই। তবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে বর্তমান কমিটির শেষ কার্যনির্বাহী বৈঠক পর্যন্ত।
/এডব্লিউ