১১ কোটির বেশি নাগরিকের ৪৬ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস ও বিক্রির অভিযোগে কাফরুল থানায় করা মামলায় ডেটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকত উল্লাহের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. আবু হানিফ।
এ সময় আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে বুধবার রাজধানীর কাফরুলের উত্তর কাজীপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ৯ অক্টোবর এনামুল হক বাদী হয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে কাফরুল থানায় মামলা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জয় ও পলক একটি সংগঠিত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নাগরিকদের এনআইডি তথ্য বিক্রির সুবিধা দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে, ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে ব্যবসার অনুমতি দেন, যে তথ্য দেশি-বিদেশি প্রায় ১৮২টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করার তথ্য পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি যমুনা টেলিভিশনের ইনভেস্টিগেশন থ্রি সিক্সটি ডিগ্রিতে ‘জয়ের তথ্য বিক্রির ফরমুলা’ শিরোনামে এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করা হয়। এতে দেখানো হয় কীভাবে জাতীয় তথ্যভাণ্ডারে থাকা নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য বেআইনিভাবে অন্য প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করা হয়েছে।
/এমএইচ