দক্ষিণ সুদানের অধিকাংশ অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় ১০ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, এর মধ্যে ২৫ শতাংশেরও বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, স্থানান্তরিতরা উঁচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন, তবে ভারী বৃষ্টির কারণে তাদের কাছে সাহায্য পৌঁছানো ক্রমশ আরও কঠিন হয়ে উঠছে। দক্ষিণ সুদানে গত কয়েক দশকের মধ্যে এটিই সবচেয়ে মারাত্মক বন্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বন্যার কারণে পূর্বাঞ্চলীয় পিবোর শহরের অন্তত ১ লাখ ১২ হাজার বাসিন্দা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। পিবোর থেকে বেসরকারি টেলিভিশনের সঙ্গে কথা বলার সময় ত্রাণ ও পুনর্বাসন সংস্থার পরিচালক জোসেফ নায়ো বলেন, মানুষদের অবিলম্বে সরকারি কর্তৃপক্ষ চিহ্নিত উঁচু স্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, পানির স্তর এখনো বাড়ছে এবং স্থানান্তরও অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন>>
গত মে মাসে, দক্ষিণ সুদানের সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জানিয়েছিল, পরবর্তী মাসগুলোতে দেশটিতে ভয়াবহ বন্যার ঝুঁকি রয়েছে। ওসিএইচএ জানিয়েছে, বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর দক্ষিণ সুদানের ১৫টি প্রধান সড়ক অকার্যকর হয়ে পড়েছে, যার ফলে পাঁচ লাখ মানুষের জন্য জরুরি মানবিক সাহায্য পৌঁছানো কঠিন হচ্ছে।
এছাড়া, প্রতিবেশী সুদানে চলমান গৃহযুদ্ধের প্রভাবও মোকাবিলা করতে হচ্ছে দক্ষিণ সুদানকে। গত এপ্রিল থেকে দক্ষিণ সুদানে পাঁচ লাখেরও বেশি সুদানিজ শরণার্থী ও প্রত্যাবাসিত ব্যক্তি নিবন্ধিত হয়েছেন।
ওসিএইচএ সতর্ক করে বলেছে, দক্ষিণ সুদানের পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে এবং এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশটির ক্ষমতা আরও সংকুচিত হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি
কেএএ/