গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রবাস ফেরত বাবার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে নিজের সাত বছর বয়সী ছেলেকে অপহরণের নাটক সাজিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বাবা।
বুধবার (৮ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
তিনি বলেন, গত রোববার বিকেলে সামিরা জাহান পপি নামের এক নারী তার সাত বছর বয়সী ছেলেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি করছে জানিয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই শ্রীপুর থানার একাধিক টিম শিশুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে অভিযানে নামে। পরে এই অপহরণের সাথে বারার সম্পৃক্ততা খুঁজে পায় পুলিশ। গ্রেফতারের পর ছেলেকে অপহরণের কথা স্বীকার করেন বাবা।
গ্রেফতার বাবা কামরুজ্জামান (২৯) ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার চর কামারিয়া গ্রামের প্রবাসী আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তারা গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামে জমি কিনে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করে আসছে। সহযোগী আনোয়ার হোসেন (৩০) নেত্রকোণা জেলার সুসংদুর্গাপুর গ্রামের মো. দুলালের ছেলে।
কামরুজ্জামান তার সহযোগীদের নিয়ে সাত বছর বয়সী ছেলে আফনানকে অপহরণ করে মুঠোফোনের এসএমএসের মাধ্যমে দুই লাখ মুক্তিপণ চেয়েছিল। পরে কামরুজ্জামানের দেয়া তথ্য মতে সহযোগী রিপনের বাড়ি থেকে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শিশু আফনানকে উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে থাকা শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমজাদ শেখ জানান, সাকিবকে অপহরণের পর বিকাশে আদায় করা মুক্তিপণ শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার আল হেরা হাসপাতাল এলাকায় একটি বিকাশ এজেন্ট থেকে ক্যাশ আউট করা হয় বলে তথ্য পায় পুলিশ। পরে ওই বিকাশের দোকান থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে শিশুর বাবা কামরুজ্জামানের উপস্থিতি পায় পুলিশ। পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তিনি বলেন, এক পর্যায়ে সে সাকিবকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের দায় স্বীকার করে নিলেও ছেলে অপহরণের কথা স্বীকার করছিল না। পরে তাকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখালে তখন সে প্রবাস ফেরত বাবার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেই নিজের ছেলেকে অপহরণ করে। শিশু আফনানকে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে সহযোগী রিপনের বাড়িতে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়।
ইউএইচ/