ধৃমল দত্ত, কলকাতা
আগামী বছর শুরু হবে ৪৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বই মেলা। গত বছরের মেলায় নজর কেড়েছিল বাংলাদেশ প্যাভেলিয়ন। ৩ হাজার ২শো ফুট জায়গাজুড়ে তৈরি করা হয়েছিল ওই প্যাভেলিয়ন। সেখানে বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি ৪৫টি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নিয়েছিল।
বাংলাদেশের কবি, সাহিত্যিকদের লেখা বই একমাত্র কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা ও কলকাতার বই পাড়া কলেজ স্কোয়ারে বাংলাদেশি বইমেলায় পাওয়া যায়। তাই বাংলাদেশি বই কেনার অপেক্ষায় সারা বছর এই মেলার অপেক্ষায় থাকেন বসে থাকে কলকাতার বই প্রেমীরা।
তবে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ বইমেলা ও আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করবে কি না- তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন বইমেলা কর্তৃপক্ষও।
যদিও কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার আয়োজক গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্রোপাধ্যায় বলেছেন, প্রত্যেক বছর বই মেলায় ২০ থেকে ২২টি দেশ অংশ নেয়। আমরা চাই, এবারও বাংলাদেশ অংশ নিক। এর জন্য আমরা যেখানে যেখানে দরকার, সেখানেই চিঠি পাঠাবো। তবে তা গ্রহণ করা হবে কি না, সেটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যাপার। আমরা কোনো রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ পাঠাচ্ছি না। আমরা একটি দেশকে আসতে বলছি।
ত্রিদিব চট্রোপাধ্যায় বলেন, দুই দেশের মধ্যে সান্নিধ্য বাড়াই কলকাতা বইমেলা। আর সেখানে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ না থাকলে মন খারাপ তো লাগবেই।
২০১১ সাল থেকে কলকাতার গগনেন্দ্র শিল্প প্রদর্শশালায়ে বাংলাদেশ বইমেলা শুরু হয়। তবে মেলাটি কিছু সমস্যার কারণে মেলাটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখা যায়নি। এরপরে বাংলাদেশ বইমেলা নন্দন রবীন্দ্রসদন প্রাঙ্গণে। রবীন্দ্রসদনের পশ্চিম পাশে মোহরকুঞ্জ প্রাঙ্গণেও এই মেলার আয়োজন করা হয়। মাঝে করোনার কারণে এক বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালে কলকাতার বইপাড়া কলেজ স্কোয়ারে স্থায়ী ঠাঁই পায় মেলাটি।
ডিডি/এসএএইচ