স্টাফ করেসপনডেন্ট, পটুয়াখালী:
পটুয়াখালীর গলাচিপায় একটি মুখপোড়া হনুমান পিটিয়ে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় পশুপ্রেমী সংগঠন ‘এনিমেল লাভার অব পটুয়াখালী’। আর বন বিভাগ আশ্বাস দিয়েছেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের উত্তর আমখোলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী সদর উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা নয়ন মিস্ত্রি জানান, হনুমান দেখার খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে ওই এলাকায় বন বিভাগের লোক পাঠানো হয়। তারা সারাদিন ওই এলাকায় ছিল এবং তার সেখানকার স্থানীয় মানুষকে বুঝিয়েছে যে, হনুমানটি মানুষের কোনো ক্ষতি করবে না।
তিনি আরও জানান, বিকেলে বন বিভাগের লোকেরা সেখান থেকে চলে আসার পরে স্থানীয় লোকজন হনুমনটিকে পিটিয়ে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়। পরে লোকমুখে এ খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে মৃত হনুমানটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান রেঞ্জ কর্মকর্তা নয়ন মিস্ত্রি।
তিনি আরও জানান, এ ধরনের হনুমান সাধারণত পাহাড়ি এলাকায় থাকে। এটি পটুয়াখালীতে কীভাবে আসলো তা সঠিকভাবে বলা মুশকিল। তবে ধারণা করা হচ্ছে, অন্য এলাকা থেকে মালবাহী কোনো পরিবহনের মাধ্যমেও এটি এ এলাকায় আসতে পারে।
হনুমান পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এনিমেল লাভার অব পটুয়াখালী নামক স্থানীয় পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্য আহসানউল্লাহ হাসান মুছা বলেন, হনুমানটি পটুয়াখালীতে এসছে বেশ কিছু দিন আগে। এটি মানুষের কোনো ক্ষতি করেনি, খুবই শান্ত ছিল। কেনো হনুমানটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হলো, কি দোষ ছিলো তার? এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেয়া হলে ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা আরও ঘটবে।
এ বিষয়ে জানতে গলাচিপা থানার ওসি শোণিত কুমার গায়েন জানান, লোকমুখে শুনেছি যে, ওই এলাকার একটি বাসায় হনুমানটি ঢুকে একটি শিশুকে আঘাত করেছে। পরে ওই বাচ্চার মায়ের চিৎকারে স্থানীয়রা জড়ো হওয়া কোনো এক ব্যক্তির লাঠির আঘাতে হনুমানটি মারা যায়। পরে বনবিভাগের লোকজনকে খবর দেয়া হয়।
/এসএইচ