রাসেল আহমেদ পেশায় মেডিকেল প্রমোশনাল অফিসার। ঈদের ছুটিতে ঈশ্বরদী যাবেন। ট্রেনের টিকেট পেতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন সোমবার (২৫ এপ্রিল) ভোর ছয়টায়। লাইনে দাঁড়ানোর ১৮ ঘণ্টা পার হওয়ার পরও জানালেন, সিরিয়াল দেয়া, টোকেন সংগ্রহ সবই করেছেন কিন্তু টিকিট পাওয়া নিয়ে শঙ্কা কাটেনি।
অনেকের অবস্থা তার চেয়েও খারাপ। কেউ শুরুতে সিরিয়াল পেলেও ধরে রাখতে না পেরে পিছনে পড়েছেন। নিরুপায় হয়ে ফের নতুন করে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। কেউ কেউ আবার পরদিন অফিস ধরার প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন। সকালে টিকিট হাতে পেলেই পোশাক পাল্টে ছুটবেন কর্মস্থলে।
রোজাদাররা রেলস্টেশনেই সেরেছেন গতকালের ইফতার-সেহরি। ক্লান্তিতে মাটিতেই ঘুমের কোলে ঢলে পড়েন অনেক টিকিট প্রত্যাশী। কেউ আবার সময় কাটাতে খেলায় মন দিচ্ছেন। গত কয়েকদিনের চিত্রেরই পুনরাবৃত্তি কমলাপুর রেলস্টেশনে। কার্যক্রমের চতুর্থ দিনেও অগ্রিম টিকিট পেতে একদিন আগে হাজির হয়েও হাজার হাজার মানুষ টিকিট পাবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কিত। জটিলতা এড়াতে নিজ উদ্যোগেই টোকেন দিয়ে সিরিয়াল ঠিক রাখার চেষ্টা করছেন টিকিট প্রত্যাশীরা।
নানা ঝুট ঝামেলার পর টিকিট মিললে সব কষ্ট ম্লান হয়ে যাবে এই আশাই দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকার শক্তি যোগাচ্ছে ঘরমুখো মানুষগুলোকে।
/এডব্লিউ