চামড়া কম আসায় পোস্তায় মন্দাদশা, ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, লাভবান মৌসুমী ব্যবসায়ীরা

0
3


পোস্তার চামড়ার আড়ত।

পোস্তায় চামড়ার আড়তে এবার মন্দাদশা বিরাজ করছে। ট্যানারির মালিকরা সরাসরি লবণযুক্ত চামড়া কেনা শুরু করেছেন। আড়তদারদের দাবি, এতে পোস্তায় কেনাবেচা কমেছে ৬০ শতাংশ। হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, লবণ সঙ্কট দেখা দেয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কিছুটা ব্যহত হয়েছে। তবে ট্যানারি মালিকরা বলছেন, সারা দেশেই প্রক্রিয়াজাত করার জন্যে চামড়ার মজুদ আছে। সরু রাস্তার জন্যে অনেকেই এবার পোস্তামুখী হননি।

চলতি মৌসুমে ট্যানারী মালিকরা চামড়া ৫ লাখ কমিয়ে, সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ৯৫ লাখ পুনঃনির্ধারণ করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে এবার ঈদের এক সপ্তাহ ঢাকায় অন্য জেলার চামড়া আনতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। স্থানীয় পর্যায়ে লবণযুক্ত চামড়া সংরক্ষণে নজরদারি বাড়ায় প্রশাসন। এতে ঢাকার বাইরে অনেক ব্যবসায়ীর সাথে সরাসরি যোগাযোগ করেন, ট্যানারির এজেন্টরা। এতে পোস্তায় চামড়া কম এসেছে। ফলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন থেকে পিছিয়ে পড়েছেন পোস্তার আড়তদারা। এতে হতাশা আছে অনেকের মাঝে।

এবার দেশ জুড়ে স্থানীয়ভাবে চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। ঈদের পরের সাত দিন আশেপাশের জেলা থেকে ঢাকায় চামড়া না আনার জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। এতে মন্দার মধ্যে পড়ে পোস্তার আড়তদাররা। তবে সরকারের এ সিদ্ধান্তে মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা লাভবান হয়েছে উল্লেখ করে ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, ঈদের দিন ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকে যে রক্তজুক্ত ও লবণহীন চামড়া আসতো, তাতে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হতেন। তবে এবারে তা না হওয়ায় মৌসুমী ব্যবসায়ীরা যেখানেই চামড়া পেয়েছেন সেখানেই লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে ফেলেছেন। এতে এবারে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা লাভের মুখ দেখেছে।

বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বলছে, গত বছরের তুলনায় এবার পোস্তায় প্রায় ৪০ হাজার পিস কম চামড়া এসেছে।

এসজেড/