গাজা উপত্যকায় সাম্প্রতিক ইসরায়েলি আগ্রাসনের তদন্ত করবে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার, মানবাধিকার কাউন্সিলের অধিবেশনে হওয়া ভোটাভুটিতে আসে এ সিদ্ধান্ত। হাই-কমিশনার মিশেল ব্যাশেলেট জানান, ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করেছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখবে কমিশন। তদন্তের এ সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। আর যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এতে ব্যাহত হবে শান্তি প্রক্রিয়া
ইসরায়েলি আগ্রাসনের চিহ্ন হিসেবে এখনো ধ্বংসস্তুপ হয়ে রয়েছে গাজা। অস্ত্রবিরতি কার্যকর হলেও থমথমে অবস্থা উপত্যকায়। ঘরে ফিরতে পারে নি হাজারো ফিলিস্তিনি। সাম্প্রতিক এই সহিংসতা নিয়ে বৃহস্পতিবার বিশেষ অধিবেশনে বসে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল। সেখানে টানা ১১ দিনের সহিংসতার সময় সংগঠিত অপরাধ খতিয়ে দেখার প্রস্তাব তুলা হয়। ভোটাভুটিতে ৪৭ দেশের মধ্যে ২৪ টি দেশ সমর্থন দেন প্রস্তাবে। বিপক্ষে থাকে ৯ রাষ্ট্র।
যদিও হাইকমিশনার জানান, প্রাথমিক তথ্য প্রমাণে স্পষ্ট আন্তর্জাতিক বিধিমালা লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল। তবে ইসরায়েল বলছে গাজা উপত্যকায় হামাসের ঘাটি হিসেবে ব্যবহৃত ভবনগুলো লক্ষ্য করেই ছুঁড়া হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র।
মানবাধিকার কাউন্সিলের তদন্তকে লজ্জা জনক আখ্যা দিয়েছে ক্ষুব্ধ ইসরায়েল। তবে স্বাভাবিক ভাবে এই পদক্ষেপে খুশি হামাস।
১১ দিনের ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে প্রাণ হারান ২৫৪ ফিলিস্তিনি। যে তালিকায় ৬৬ জনই শিশু। আহত ২ হাজারের কাছাকাছি। হামাসের রকেট হামলায় ইস্রায়েলে প্রাণ যায় ১২ জনের।