মনের অসুস্থতা হয়তো চোখে দেখা যায় না কিন্তু এর প্রভাব শারীরিক অসুস্থতার চাইতে কোন অংশেই কম নয় । ডাক্তাররা বলছেন , এই করোনা কালে রোগটি শুধু জীবনই কেড়ে নিচ্ছে না অসুস্থ করে দিচ্ছে মানুষের মনকেও । ফলে একাধারে কমছে কাজের গতি ব্যক্তিজীবণেও হচ্ছে ছন্দপতন । মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন মানসিক চিকিৎসা সেবা চালু করতে হবে শহর থেকে গ্রামে দেশের সর্বত্র । শরীরে অসুখ বাসা বাঁধলে মানুষ হাসপাতালে যায় ।
কিন্তু মনের অসুখের খবর কে রাখে ? বৃদ্ধ থেকে তরুণ যে কারণ হতে পারে মানসিক সমস্যা । ভুগতে পারেন বিষন্নতায় । আর এই বিষন্নতা প্রভাব ফেলে কর্মক্ষেত্রে , ব্যক্তিজীবনে সর্বত্র । অথচ এই মনকে একটু গুরুত্ব দিলেই হয়ে যায় সব সমস্যার সমাধান , বলছেন মনোবিজ্ঞানীরা । স্কুল কলেজে যাওয়া , ক্লাস করা , বন্ধুদের সাথে বসে আড্ডা এখন আর নেই ।
করোনা সংক্রমণের পর থেকে সব বন্ধ । ঘরে বসে অনলাইনের ক্লাস অথবা ভিডিও কলে যতই আড্ডা দেয়া হোক মন ভুলছে না । বাড়ছে মানসিক চাপ । সমাজবিজ্ঞানীদের মতে , কেবলমাত্র করোনাকালেই নয় স্বাভাবিক সময়েও শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমাতে মনোবিজ্ঞানীর পরামর্শ নেয়া উচিত ।
কিন্তু দেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই সেই সুযোগ । সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে মনোরোগবিজ্ঞানী রাখার বিষয়টিকে বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা । জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের হিসাবে দেশে ১৮ কোটি মানুষের জন্য মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন তিনশরও কম । আর বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটি মানুষ মানসিক রোগে আক্রান্ত ।