প্রকাশ পেল আয়ারল্যান্ডের এক কলঙ্কময় অধ্যায়। গেল শতাব্দীতে অযত্ন, অবহেলায় প্রায় নয় হাজার অবৈধ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
ক্রিস্টান যাজকদের দ্বারা পরিচালিত মাদার এন্ড বেবি হোমস গুলোয় চালানো অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর এইসব তথ্য। ধর্মরক্ষার নামে চালানো নির্যাতনে বিব্রত আইরিশ সরকার। পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী এর জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
আয়ারল্যান্ডে বিশ শতকে রোমান ক্যাথলিক চার্চ এবং ক্রিস্টান যাজকরা পরিচালনা করতো আঠারটি মাদার এন্ড বেবি হোমস। যাতে বিয়ের আগেই গোপনে সন্তান প্রসবের জন্য অন্তসত্তা নারীদের নেয়া হতো।
অভিযোগে ভিত্তিতে গেলো ছয় বছর ধরে চলে তদন্ত। তিন হাজার পৃষ্টার অনুসন্ধানী রিপোর্টে ১৯২০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রেকর্ড নথিভুক্ত করা হয়েছে। যার মওদ্দাকথা এসব প্রতিষ্ঠানে মোট ৫৭ হাজার শিশু জন্ম নেয়। যাদের মধ্যে ৯ হাজার শিশুই মারা যায় অযত্ন অবহেলায়। তদন্তে বলা হয়, অবৈধ সন্তানের জীবন বাঁচানোর কোনো উদ্যোগই ছিল না প্রতিষ্ঠান গুলোর।
ধর্মীয় নীতি-নৈতিকতা রক্ষার অযুহাতে হতভাগ্য শিশুদের ঠিকমতো সৎকার হতো না। হোমস প্রাঙ্গনেই দেয়া হতো মাঠি চাপা। নতুবা ফেলে দেয়া হতো নালা নর্দমায়। রাষ্ট্র এবং চার্চ এর জন্য সম্মিলিতভাবে দায়ী। তারা নিশ্চিত করতে চাইত এসব পাপী নারীরা রাষ্ট্রের নৈতিক চরিত্রের জন্য হুমকি।
যারা জীবিত রয়েছেন সেই মা ও শিশুদের কাছে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গির্জার অন্যায় আচরণের দায় নিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে ক্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিসও।
আরো পড়ুনঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেয়র প্রার্থীকে জুতাপেটা করলো আওয়ামীলীগ সমর্থক