আজকের ভোরটা ভিন্ন এক খুশির সংবাদ নিয়ে হাজির হলো বাংলাদেশের মানুষের সামনে। সেই সাত সমূদ্র, তেরো নদীর ওপার- ওয়েস্ট ইন্ডিজের জ্যামাইকায় হয়তো এখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। মাত্র কিছুক্ষণ আগেই কিংস্টনের সাবিনা পার্ক স্টেডিয়ামে দারুণ এক টেস্ট জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে টাইগাররা।
প্রথম টেস্টে ২০১ রানের বিশাল ব্যবধানে হার। দ্বিতীয় টেস্টের শুরুতেও নড়বড়ে ব্যাটিং। মাত্র ১৬৪ রানে অলআউট। এমন পরিস্থিতিতে আরও একটি টেস্ট হারের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল, কিন্তু বাংলাদেশের বোলারদের কৃতিত্বে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৬ রানে অলআউট করে প্রথম ইনিংসেই ১৮ রানের লিড পেল বাংলাদেশ।
এরপর ব্যাট করতে নেমে ব্যাটাররা মোটামুটি দৃঢ়তার পরিচয় দিলেন। মাহমুদুল হাসান জয়, মেহেদী হাসান মিরাজের পর জাকের আলী অনিক। বিশেষ করে জাকের আলি অনিক দারুণ ব্যাটিং করলেন। তার ৯১ রানের ওপর ভিত্তি করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয়ের জন্য ২৮৭ রানের বড় লক্ষ্য বেধে দিতে পেরেছে বাংলাদেশ।
এবার পরীক্ষা বোলারদের। প্রথম ইনিংসের মত দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলাদেশের বোলাররা রীতিমতো আতঙ্ক হয়ে দেখা দিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটারদের সামনে। প্রথম ইনিংসে পেসার নাহিদ রানা ছিলেন বড় আতঙ্ক। তিনি নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে সেই আতঙ্ক নিয়ে হাজির হলেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তিনিও নিলেন পাঁচ উইকেট। তার এই বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৮৫ রানে অলআউট। সে সঙ্গে বাংলাদেশ পেল ১০১ রানের বিশাল ব্যবধানে এক জয়।
১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তাদের আবার হারাতে পারলো বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে সর্বশেষ সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ক্যারিবীয়দের মাটিতে টেস্ট জিতেছিল টাইগাররা। সব মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ বছর পর হারালো বাংলাদেশ।
২৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিলেন দু‘জন। কাভেম হজ। তিনি করেন ৫৫ রান এবং ওপেনার ও অধিনায়ক কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। তিনি করেন ৪৩ রান। এছাড়া জাস্টিন গ্রিভস ২০ রান করেন।
তাইজুল ইসলাম ছাড়া ২টি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ। নাহিদ রানা নেন ১ উইকেট। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তাইজুল ইসলাম।
আইএইচএস